যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর দ্বন্দ্বের সম্পর্ক চলছে। ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার তেল বহনকারী ট্যাঙ্কারগুলোর তার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন, এছাড়াও ভেনেজুয়েলা সরকারকে একটি ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। ইতোমধ্যে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন ভেনেজুয়েলা বৃহত্তম নৌবহর দিয়ে ঘেরাও হয়ে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এমন উত্তেজনামূলক পরিস্থিতিতে বুধবার কলম্বিয়ার কাছে জরুরি সামরিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন মাদুরো। মাদুরো এসময় জোর দিয়ে বলেন, মিত্র দেশগুলির একতার মধ্যে আঞ্চলিক শান্তি ও সার্বভৌমত্বের সর্বোচ্চ গ্যারান্টি নিশ্চিত করা যায়। তাই তিনি কলম্বিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে বিদেশি হস্তক্ষেপ রোধ করতে ভেনেজুয়েলার সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
মাদুরো বলেন, ‘আমি কলম্বিয়ার জনগণ, এর সামাজিক আন্দোলন এবং কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনী সকলকে আমি খুব ভালো করে চিনি, তাদের প্রতি একটি নিখুঁত ঐক্যের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি যাতে কেউ আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করার সাহস না করে।"
ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক উত্তেজনা বৃদ্ধির পর প্রতিবেশী দেশের প্রতি এমন আপিল করেছেন মাদুরো। মাদুরো দাবি করেছেন ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ‘তেল, জমি এবং অন্যান্য সম্পদ’ চুরির অভিযোগ এনে ‘তার আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করেছেন।’
ভেনেজুয়েলার নেতা এই অভিযোগগুলিকে "যুদ্ধবাজ এবং উপনিবেশবাদী ভান" হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা শাসন পরিবর্তনকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
মাদুরো বলেন, ‘ যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো একটি পুতুল সরকার চাপিয়ে দেওয়া যা ৪৭ ঘণ্টাও স্থায়ী হবে না, যে সরকার আমাদের সংবিধান এবং সম্পদ হস্তান্তর করবে, ভেনেজুয়েলাকে একটি উপনিবেশে পরিণত করবে।’ এরপর মাদুরো সমর্থকদের উদ্দেশ্যে করে বলেন-এটা কখনই ঘটবে না।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


ভেনেজুয়েলায় পুতুল সরকার বসাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মাদুরো
ফিলিস্তিনি কেফিয়েহ পরে জন্মদিন পালন করলেন মাদুরো