জেনেভায় মার্কিন, ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে ‘গঠনমূলক’ আলোচনার পর, রোববার ওয়াশিংটন ও কিয়েভ বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের জন্য যে কোনও চূড়ান্ত চুক্তিতে অবশ্যই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে ‘সম্পূর্ণরূপে রক্ষা’ করতে হবে।
মার্কিন-ইউক্রেন যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রস্তাবের ভিত্তিতে শুরু হওয়া একদিনের বৈঠকের পর, আলোচকরা ‘একটি হালনাগাদ ও পরিমার্জিত শান্তি কাঠামোর’ খসড়া তৈরি করেছেন বলে জানা গেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রায় চার বছর ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটানোর পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য ইউক্রেনকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন।
কিন্তু ইউক্রেন খসড়া শান্তি প্রস্তাবের পরিবর্তন চেয়েছে। কারণ এতে রাশিয়ার বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এই ২৮-দফা বিশিষ্ট পরিকল্পনাটিতে রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ছাড়তে, সৈন্য সংখ্যা হ্রাস করতে ও ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে বলা হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আলোচনাগুলো ছিল গঠনমূলক, লক্ষ্যভিত্তিক ও মর্যাদাপূর্ণ। এতে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের লক্ষ্যে সকল পক্ষের অভিন্ন অঙ্গীকারকেই তুলে ধরা হয়েছে।’
এতে বলা হয়েছে, তারা নিশ্চিত করেছে যে, ভবিষ্যতের যে কোনো চুক্তিকে অবশ্যই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করতে হবে এবং এর পাশাপাশি একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত শান্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এতে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতির’ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
উভয় পক্ষ ‘আগামী দিনগুলোতে’ যৌথ প্রস্তাবনাগুলোতে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
হোয়াইট হাউস এক পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আলোচনাটি একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’।
কিন্তু একই সময়ে, ইউক্রেনের প্রধান শহর খারকিভে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় চার জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই শহরের মেয়র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক দিনের এই বৈঠকের পর ‘অসাধারণ’ অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের প্রধান আন্দ্রি ইয়েরমাকও সাংবাদিকদের বলেছেন, বৈঠকে দুই পক্ষ ‘খুব ভালো অগ্রগতি’ অর্জন করেছে।
এসআর

