ফের বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৩১
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৪২

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার ফোনালাপ ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেন ইস্যুতে হাঙ্গেরিতে সরাসরি আলোচনায় সম্মত হয়েছেন দুই নেতা। তবে বৈঠকের তারিখ নিশ্চিত করেননি ট্রাম্প।

ট্রাম্প জানান, ওয়াশিংটন ও মস্কোর প্রতিনিধিরা আগামী সপ্তাহে দেখা করবেন। দুই সপ্তাহের মধ্যেই পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ফোনালাপের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের উপদেষ্টারা আগামী সপ্তাহে একটি অনির্দিষ্ট স্থানে বৈঠক করবেন। বৈঠকে আমেরিকার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

ট্রাম্প জানান, তার এবং পুতিনের মধ্যে বৈঠকের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে শুক্রবার ওভাল অফিসের বৈঠকে অবহিত করা হবে।

ট্রাম্প-পুতিনের দুই ঘণ্টার বেশি সময়ের ফোনালাপের পর ট্রাম্প ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে তীব্রভাবে আঘাত হানতে সক্ষম টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, আমরা আমাদের মজুত শেষ করতে পারি না। আমাদেরও এগুলো দরকার। তাই আমি জানি না আমরা কী করতে পারি।

এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ‘অত্যন্ত স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য’ ফোনালাপের পর অবিলম্বে শীর্ষ সম্মেলনের কাজ শুরু হবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, পুতিন শুক্রবার হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে কথা বলেছেন। যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লেখেনÑবুদাপেস্টে পরিকল্পিত বৈঠকটি ‘বিশ্বের শান্তিপ্রিয় জনগণের জন্য দুর্দান্ত খবর’।

এদিকে, টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে গতকাল শুক্রবার আমেরিকায় পৌঁছান জেলেনস্কি। তিনি বলেন, টমাহকের কথা শোনামাত্রই মস্কো পুনরায় সংলাপ শুরু করতে তাড়াহুড়া করছে।

এর আগে গত আগস্টে আলাস্কায় শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প আশা করেছিলেন, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে শান্তি আলোচনার জন্য পুতিনকে রাজি করানো যাবে। কিন্তু ওই বৈঠকে কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এদিকে, আমেরিকায় ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলগা স্টেফানিশিনা জানিয়েছেন, ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ইউক্রেনে ২৮টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩২০টি ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। চলতি বছর ইউক্রেনে চালানো রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা এটি।

কলম্বিয়া ব্রডকাস্টিং সিস্টেমকে (সিবিএস) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই আক্রমণগুলো মস্কোর সন্ত্রাসী কৌশলের প্রতিচ্ছবি। এর একমাত্র কার্যকর সমাধান হলো কঠোর নিষেধাজ্ঞা, শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ও দূরপাল্লার সক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র দিয়ে রাশিয়াকে চাপে রাখা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত