নেতানিয়াহুর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ও উপযুক্ত জবাব ফ্রান্সের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৫, ২২: ৫৮
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ৪৪
ছবি: আল জাজিরা

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে ইহুদি-বিদ্বেষ উসকে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। তা জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ফ্রান্স।

মঙ্গলবার তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে নেতানিয়াহু ম্যাক্রোঁর উদ্দেশে বলেন, তিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করে ইহুদি-বিদ্বেষ উসকে দিচ্ছেন। এবং এটি হামাসকে পুরস্কৃত করার শামিল। তিনি এই সিদ্ধান্তকে কূটনৈতিক নয়, বরং তুষ্টিকরণ বলে অভিহিত করেন।

এমন মন্তব্যের জবাবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এলিসি প্রাসাদ জানায়, ইহুদি-বিদ্বেষের মতো একটি সংবেদনশীল বিষয়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর দফতর থেকে আরো বলা হয়, “ফ্রান্স তার ইহুদি নাগরিকদের সবসময় রক্ষা করেছে এবং করবে, এ বিষয়ে আমাদের কাউকে কিছু শেখার প্রয়োজন নেই।”

ফরাসি মন্ত্রী বেঞ্জামিন হাদ্দাদও এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, “ইউরোপীয় সমাজে ইহুদি-বিদ্বেষ একটি গুরুতর সমস্যা, কিন্তু সেটিকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানো যাবে না।”

ম্যাক্রোঁ ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন যে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘে ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। বিশ্বের অন্তত ১৪৫টি দেশ ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা দিতে যাচ্ছে। ইসরাইল এই উদ্যোগের বিরোধিতা করছে এবং একইসাথে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও নেতানিয়াহু কটূক্তি করেছেন, যেখানে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে ‘ইসরাইলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা’ এবং ‘অস্ট্রেলীয় ইহুদিদের পরিত্যাগকারী দুর্বল রাজনীতিবিদ’ বলে অভিহিত করেন।

এই মন্তব্য আসে এমন এক প্রেক্ষাপটে, যখন অস্ট্রেলিয়া সিমচা রথমান নামক এক কট্টর ডানপন্থি ইসরাইলি রাজনীতিকের ভিসা বাতিল করে। পালটা প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলও অস্ট্রেলীয় কূটনীতিকদের ভিসা বাতিল করেছে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এই প্রতিক্রিয়াকে "অযৌক্তিক" বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেন, নেতানিয়াহুর সরকার ইসরাইলকে আরও বিচ্ছিন্ন করে তুলছে এবং শান্তিপূর্ণ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত