ইসরাইলের আগ্রাসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অবরুদ্ধ গাজায় দুই বছর আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল। আগ্রাসনে পুরো উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ আগ্রাসনের মধ্যেই সমানতালে অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামলা, গ্রেপ্তারি ও তাণ্ডব চালানোর মাধ্যমে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে ইসরাইলিরা। একই সঙ্গে নিরাপত্তা পাহারা জোরদার করে স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের জীবনকে দুর্বিষহ করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এর অংশ হিসেবে দুই বছরে পুরো এলাকায় প্রায় এক হাজার সীমানা প্রাচীর তৈরি করেছে তেল আবিব।
ফিলিস্তিনি সরকারি সংস্থা ওয়াল অ্যান্ড সেটেলমেন্ট রেজিস্ট্যান্স কমিশনের বরাত দিয়ে ব্রিটেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউ আরব বৃহস্পতিবার এ খবর জানায়। খবরে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আগ্রাসন শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ৯১৬টি গেট ও প্রাচীর তৈরি করেছে ইসরাইল। এছাড়া পুরো অঞ্চলে ইসরাইলের সামরিক অভিযানও বেড়ে গেছে। দুই বছরে শিশুসহ এক হাজার ৬২ ফিলিস্তিনি ইসরাইলি সেনাদের হামলায় নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরো কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৯৬৭ সালে যুদ্ধের পর ইসরাইলি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন অঞ্চলে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে। তবে এবারের ঘটনার সঙ্গে আর কিছুর তুলনা নেই বলে স্থানীয়রা জানান।
ফিলিস্তিনিরা জানান, এ ধরনের প্রাচীর দিয়ে তাদের গ্রাম থেকে গ্রাম ও শহর থেকে শহরকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে স্থানীয়দের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ প্রাচীরগুলোর দরজা খোলার সময়ও খুবই অনিশ্চিত। কখনো কখনো তা পুরো দিনই বন্ধ থাকে।
এ প্রাচীরগুলো পুরো অঞ্চলের উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে বিভক্ত করে দিয়েছে। এর ফলে অল্প সময়ের যাত্রায়ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়।
একই সঙ্গে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় ফিলিস্তিনি ও তাদের সম্পদ লক্ষ করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনা ও বসতি স্থাপনকারীরা। শুক্রবার পশ্চিম তীরের রামাল্লার কাছে বাইতিন ও দাইর দিবওয়ান গ্রামে হামলা চালিয়েছে বসতি স্থাপনকারীরা। এ সময় তারা ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়া রামাল্লা ও নাবলুসের মধ্যবর্তী কারইয়ুত, তুরমুস আইয়া, জালুদ ও দুমা গ্রামের জলপাই বাগানে হামলা চালিয়ে ফসল চুরি করে নিয়ে যায় বসতি স্থাপনকারীরা।
এদিকে শুক্রবার রামাল্লার কাছাকাছি সিলওয়াদ গ্রামে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোর নিহত হয়েছে। এছাড়া কালকিলইয়া শহর থেকে পাঁচ তরুণকে আটক করে ইসরাইলি সেনারা।
পশ্চিম তীরের এ পরিস্থিতির মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুধবার পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২১১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু বুধবারেই ১০৪ জন নিহতের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও থেমে থেকে উপত্যকা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। একই সঙ্গে কথিত ‘হলুদ সীমারেখায়’ অবস্থানের অভিযোগে ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতভর ইসরাইলি বাহিনী গাজার বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। এছাড়া শুক্রবারও এ হামলা অব্যাহত ছিল। হামলায় অন্তত চারজন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে।

অবরুদ্ধ গাজায় দুই বছর আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল। আগ্রাসনে পুরো উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ আগ্রাসনের মধ্যেই সমানতালে অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামলা, গ্রেপ্তারি ও তাণ্ডব চালানোর মাধ্যমে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে ইসরাইলিরা। একই সঙ্গে নিরাপত্তা পাহারা জোরদার করে স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের জীবনকে দুর্বিষহ করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এর অংশ হিসেবে দুই বছরে পুরো এলাকায় প্রায় এক হাজার সীমানা প্রাচীর তৈরি করেছে তেল আবিব।
ফিলিস্তিনি সরকারি সংস্থা ওয়াল অ্যান্ড সেটেলমেন্ট রেজিস্ট্যান্স কমিশনের বরাত দিয়ে ব্রিটেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউ আরব বৃহস্পতিবার এ খবর জানায়। খবরে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আগ্রাসন শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ৯১৬টি গেট ও প্রাচীর তৈরি করেছে ইসরাইল। এছাড়া পুরো অঞ্চলে ইসরাইলের সামরিক অভিযানও বেড়ে গেছে। দুই বছরে শিশুসহ এক হাজার ৬২ ফিলিস্তিনি ইসরাইলি সেনাদের হামলায় নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরো কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৯৬৭ সালে যুদ্ধের পর ইসরাইলি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন অঞ্চলে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে। তবে এবারের ঘটনার সঙ্গে আর কিছুর তুলনা নেই বলে স্থানীয়রা জানান।
ফিলিস্তিনিরা জানান, এ ধরনের প্রাচীর দিয়ে তাদের গ্রাম থেকে গ্রাম ও শহর থেকে শহরকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে স্থানীয়দের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ প্রাচীরগুলোর দরজা খোলার সময়ও খুবই অনিশ্চিত। কখনো কখনো তা পুরো দিনই বন্ধ থাকে।
এ প্রাচীরগুলো পুরো অঞ্চলের উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে বিভক্ত করে দিয়েছে। এর ফলে অল্প সময়ের যাত্রায়ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়।
একই সঙ্গে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় ফিলিস্তিনি ও তাদের সম্পদ লক্ষ করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনা ও বসতি স্থাপনকারীরা। শুক্রবার পশ্চিম তীরের রামাল্লার কাছে বাইতিন ও দাইর দিবওয়ান গ্রামে হামলা চালিয়েছে বসতি স্থাপনকারীরা। এ সময় তারা ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়া রামাল্লা ও নাবলুসের মধ্যবর্তী কারইয়ুত, তুরমুস আইয়া, জালুদ ও দুমা গ্রামের জলপাই বাগানে হামলা চালিয়ে ফসল চুরি করে নিয়ে যায় বসতি স্থাপনকারীরা।
এদিকে শুক্রবার রামাল্লার কাছাকাছি সিলওয়াদ গ্রামে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোর নিহত হয়েছে। এছাড়া কালকিলইয়া শহর থেকে পাঁচ তরুণকে আটক করে ইসরাইলি সেনারা।
পশ্চিম তীরের এ পরিস্থিতির মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুধবার পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২১১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু বুধবারেই ১০৪ জন নিহতের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও থেমে থেকে উপত্যকা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। একই সঙ্গে কথিত ‘হলুদ সীমারেখায়’ অবস্থানের অভিযোগে ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতভর ইসরাইলি বাহিনী গাজার বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। এছাড়া শুক্রবারও এ হামলা অব্যাহত ছিল। হামলায় অন্তত চারজন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে।

দীর্ঘ ২৫ বছর পর তুরস্কের মর্যাদাপূর্ণ আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার পুনরায় প্রদান করা হচ্ছে। এ বছরের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তুরস্কের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
১ ঘণ্টা আগে
আজ আতাতুর্ক বিমানবন্দরের নতুন “জনতার উদ্যান” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এরদোয়ান বলেন, “এক বছরের মধ্যে আমরা সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছি। মাঠের পরিস্থিতি আমাদের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।”
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদুরো রাডার সিস্টেম, বিমান মেরামত এবং সম্ভবত ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে সহায়তা চাইছেন। রাশিয়ার প্রতি তার আবেদন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি চিঠির মাধ্যমে করা হয়েছিল যেটি একজন সিনিয়র সহকারীর মস্কো সফরের সময় পৌঁছে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর সঙ্গে বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার জন্য বেইজিংয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি জানান, চীন সহযোগিতা বাড়াতে এবং যৌথভাবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
৩ ঘণ্টা আগে