সুদানে আবাসিক এলাকায় সেনাবাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৪৬

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৩১
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৫৩

সুদানে সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় ১০ জন আহত হন। অ্যান্টোনভ নামের ওই বিমানটি মঙ্গলবার রাতে বিধ্বস্ত হয়। খার্তুম মিডিয়া অফিস বুধবার জানিয়েছে, সুদানের ওমদুরমানের উত্তরে ওয়াদি সিদনা সামরিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ওমদুরমান জায়গাটি বৃহত্তর খার্তুমের অংশ।

এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে ১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল। তবে পরে তা সংশোধন করা হয়। মন্ত্রণালয় জানায়, বিমানটি ওমদুরমানের কারারি জেলার একটি বেসামরিক বাড়ির ওপর বিধ্বস্ত হয়। নিহতদের মধ্যে খার্তুমের সিনিয়র কমান্ডার মেজর জেনারেল বাহর আহমেদও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

সুদানের সামরিক বাহিনী ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। সুদানের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, দুর্ঘটনায় সামরিক ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, অগ্নিনির্বাপণ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

বিবৃতিতে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে সামরিক সূত্রগুলো সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, সম্ভবত প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ওমদুরমানের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎবিভ্রাট সৃষ্টি করে।

সুদানের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। দেশটির সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও আরএসএফ কমান্ডার মোহামেদ হামদান দাগলোর মধ্যে সরকার কাঠামো নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেওয়ার পর থেকে এই সংঘাত শুরু হয়।

বর্তমানে কেন্দ্রীয় সুদান ও খার্তুমে আরএসএফের বিরুদ্ধে বহুমুখী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করছে দেশটির সেনাবাহিনী।

এদিকে সর্বশেষ বিমান দুর্ঘটনা ঘটার এক দিন আগে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালায় রাশিয়ায় নির্মিত ইলিউশিন বিমান ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করেছিল আরএসএফ।

সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, আরএসএফ ও তাদের মিত্ররা নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সমান্তরাল সরকার গঠনের ঘোষণা দেওয়ার পর সংঘাত আরো বাড়তে পারে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই সংঘাতের ফলে এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা বিশ্বে সবচেয়ে বড় খাদ্যসংকট ও বাস্তুচ্যুতি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

বিষয়:

সুদান
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত