ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যু

দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ওপর জোর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ১৪
ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ফিলিস্তিন ও ইসরাইল ইস্যুর দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অসলো চুক্তির পর মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবারের মতো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বাস্তব সুযোগ এসেছে।

গত মঙ্গলবার হাউস অফ কমন্সে বক্তব্য প্রদানকালে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ তুলে ধরেন স্টারমার। তিনি জানান, ব্রিটিশ সরকার গাজা পুনর্গঠনে সমর্থন, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থায় সহায়তা প্রদান এবং যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্ব দেবে।

বিজ্ঞাপন

স্টারমার বলেন, তিন দশক আগের অসলো চুক্তির পর দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য এটি আমাদের প্রথম বাস্তব সুযোগ। আমরা এর প্রতি সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কারণ একটি কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পাশাপাশি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইসরাইল রাষ্ট্র নিশ্চিত করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার একমাত্র উপায়। গাজায় ত্রাণ সহায়তার অগ্রগতির কথা তুলে ধরে স্টারমার বলেন, গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে শান্তি পরিকল্পনার ফলে প্রয়োজনীয় সাহায্য আসা শুরু হয়েছে।

এদিকে, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ পার্লামেন্টে গাজা নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে এই সরকারের কর্মকাণ্ডের কারণে ইসরাইলের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেছে। বিশেষ করে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) তহবিল উত্তোলন এবং ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানান তিনি।

এ সময়, ব্যাডেনোচের এই বক্তব্যকে ‘লজ্জাজনক’ বলে চিৎকার করে প্রতিক্রিয়া জানান লেবার পার্টির কয়েকজন পার্লামেন্ট মেম্বার।

ব্যাডেনোচের বক্তব্যের উত্তরে স্টারমার বলেন, আমি অবাক ও দুঃখিত যে তিনি গাজার মানবিক সংকটের কথা উল্লেখ না করে, নিহতদের সংখ্যা উল্লেখ না করে, সাহায্য থেকে বঞ্চিত হওয়া ক্ষুধার্তদের কথা উল্লেখ না করে গাজায় শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা কী করেছি; তা নিয়ে আক্রমণ করতে বেশি সময় ব্যয় করেছেন। কোনো সংকটের সময় যে কোনো সরকারের তাৎক্ষণিক কাজ হলো দ্রুত সহায়তা প্রদানের জন্য মিত্রদের সঙ্গে কাজ করা। আমি অন্তত তার কাছ থেকে গাজার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির স্বীকৃতির আশা করেছিলাম।

তিনি বলেন, গাজায় একবার গণমাধ্যমকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলে সেখানে যা ঘটেছে তার ‘পরিপূর্ণ ভয়াবহতা’ নিয়ে হাউজ অব কমন্সে ‘বেশ বিতর্ক’ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন স্টারমার।

গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম বৃদ্ধিতে যুক্তরাজ্য কী করছেÑজানতে চাওয়া হলে স্টারমার বলেন, গাজায় আরো ত্রাণের ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। দখলকৃত পশ্চিম তীরের ব্যাপারে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ইসরাইলকে জানিয়েছে যে সেখানে অবৈধ বসতি স্থাপনের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত