বিশ্বে গাজার শিশুরাই সবচেয়ে বেশি অঙ্গহানির শিকার

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ১৩

গাজা শহরের একটি জেলা শেখ রাদওয়ান যেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে জাবালিয়া ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় ১০ বছর বয়সী শিশু সারা ও তার পরিবার। একদিন ক্যাম্পের রাস্তায় বাবার সাথে সাইকেল চালাচ্ছিল সারা, হঠাৎ তাদের পাশের ভবনে বিমান হামলা করে ইসরাইল। আর সাথে সাথে জ্ঞান হারায় সারা, জ্ঞান ফিরলে সে খুঁজে পায় না তার বাবাকে, তেমনিই খুঁজে পায় না তার দুটি হাত। এভাবেই প্রতিনিয়তই বিভিন্নভাবে অঙ্গহানির শিকার হচ্ছের হাজারও শিশু।

যদিও গাজায় গণনা এখনও একটি চ্যালেঞ্জ, তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের শুরুতে ঘোষণা করেছিল যে গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ১,০৫০ শিশুর উপরের এবং নীচের অঙ্গচ্ছেদের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

Children of Gaza

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গাজার সাহায্যকারী গোষ্ঠীগুলি বলছে, প্রকৃত অঙ্গহানির শিকার শিশুর সংখ্যা সম্ভবত অনেক বেশি কারণ এখনো অনেক ঘটনা অপ্রকাশিতই রয়ে গেছে, যার মধ্যে কিছু শিশু চিকিৎসা পরবর্তী সংক্রমণের কারণে মারা গেছে, অথবা তাদের পরিবার বাস্তুচ্যুতির সম্মুখীন হয়েছে।

গাজার উপর ইসরাইলের গণহত্যা যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই বিপুল সংখ্যক অঙ্গচ্ছেদের সাথে লড়াই করছিল ফিলিস্তিনিবাসী। কেননা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অতীত থেকেই ইসরাইলি আক্রমণ এবং ২০১৮ সালের গ্রেট মার্চ অফ রিটার্নের মতো অহিংস বিক্ষোভের শিকার।

দুই বছর ধরে চলা ইসরাইলি এই আক্রমণে প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। আর এর ফলস্বরূপ বিশ্বের শিশু অঙ্গহানির রাজধানীতে পরিণত হয়েছে গাজা।

প্রতিটি অঙ্গচ্ছেদের জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এবং আজীবন শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। একজনের অঙ্গচ্ছেদের ক্ষেত্রে কতটা যত্নের প্রয়োজন তা পরিমাপ করার জন্য, এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে অঙ্গচ্ছেদ প্রায়ই জরুরি পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এর জন্য দীর্ঘ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া জড়িত, যার মধ্যে অনেক অতিরিক্ত অস্ত্রোপচারও অন্তর্ভুক্ত।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত