বিশ্বজুড়ে নাশকতার যে নেটওয়ার্ক গড়েছে ইসরাইল, জানালেন সাবেক মোসাদ প্রধান

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ০৮

বুবি-ট্র্যাপড বা গুপ্তচরবৃত্তির বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী নাশকতা এবং গুপ্তচরবৃত্তি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে ইসরাইল। দ্য জিউইশ ক্রনিকলের সম্পাদক জ্যাক ওয়ালিস সাইমনসের সঙ্গে পডকাস্টে কথা বলার সময় এমন দাবি করেন সাবেক মোসাদ পরিচালক ইয়োসি কোহেন।

বৃহঃস্পতিবার মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পডকাস্টে প্রচারিত বক্তব্যে কোহেন বলেন, ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে মোসাদের স্পেশাল অপারেশনস ডিভিশনে কাজ করার সময় তিনিই ‘পেজার পদ্ধতি’ উদ্ভাবন করেন। এই প্রযুক্তি প্রথমে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের যোগাযোগ সরঞ্জামে অস্ত্রায়নের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়েছিল। পেজারগুলিকে দূরবর্তী নজরদারি সরঞ্জাম বা বিস্ফোরক ডিভাইস হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়।

এসময় তিনি সাইমনসকে আরো বলেন, আপনি বিশ্বাস করবেন না, গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো দেশগুলোতে আমাদের কত প্রক্রিয়াজাত সরঞ্জাম রয়েছে? কেবল বুবি-ট্র্যাপড নয়; বরং এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি কিংবা প্রয়োজনে শারীরিক ক্ষতিও সাধন করা যায়।

তিনি আরো বলেনে, যদি প্রতিপক্ষের দেশের কোনো সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়, তবে ইসরাইল তাদের সরবরাহ শৃঙ্খলে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করে নেয় এবং পরবর্তীতে এই প্রক্রিয়ায় সেই দেশের উপর নিয়ন্ত্রণ বিস্তার বরে। ২০০৬ সালের দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের সময় পরীক্ষা করার পরে ধারণাটি বিশ্বব্যাপী পরিমার্জিত এবং স্কেল করা হয়েছিল।

এর আগে, গত মাসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছিলেন যে, যে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সে ‘ইসরাইলের একটি অংশ’।

সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, কোহেনের এই স্বীকারোক্তি বহুদিনের সন্দেহকে নিশ্চিত করেছে। তারা বলছেন, ইসরাইল প্রযুক্তিকে একধরনের “ট্রোজান হর্স” হিসেবে ব্যবহার করছে, যা বৈশ্বিক গোয়েন্দা নেটওয়ার্কে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সাক্ষাৎকারটি আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা, বৈধতা ও প্রযুক্তি-নির্ভর গুপ্তচরবৃত্তির সীমা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত