পূর্ব উপকূলের সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫০
ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়া শুক্রবার পূর্ব উপকূলের সাগরের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। গত দুই সপ্তাহে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর এই নতুন উৎক্ষেপণ ঘটে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের চীন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে একটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়, যা প্রায় ৭০০ কিলোমিটার (৪৩৫ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করেছে।

বিজ্ঞাপন

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি শনাক্ত করে এবং এর গতিপথ অনুসরণ করে। ওই তথ্য জাপানের সঙ্গেও ভাগ করা হয়েছে।

জাপান সরকারও বলেছে, উত্তর কোরিয়া সম্ভবত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বলেছেন, কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া সফরকালে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন-এর সঙ্গে বৈঠকে বসার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেন, যা শেষ মুহূর্তে আলোচনার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। তবে বৈঠকটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। ট্রাম্প বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি আবার অঞ্চলে ফিরে এসে কিমের সঙ্গে দেখা করতে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প ২০১৯ সালে তাঁর প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদকালে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার সামরিক সীমান্তের প্যানমুনজম শান্তি গ্রামে কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

কিম ট্রাম্পের সর্বশেষ আহ্বানে এখনো সাড়া দেননি, তবে তিনি আগেই বলেছিলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগে জোর না দেয়, তবে আলোচনায় বসতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই।

বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন তাদের কর্মকর্তাদের ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অর্থপাচারের অভিযোগে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে “শত্রুতামূলক আচরণ” করছে। পিয়ংইয়ং জানিয়েছে, তারা এর জবাব দেবে, তবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

এর আগে সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়া সফরকালে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা জোটে অটল থাকবে। তিনি জানান, আঞ্চলিক হুমকির বিরুদ্ধে সামরিক “লচিলতা” বজায় রাখার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর মূল লক্ষ্য থাকবে উত্তর কোরিয়াকে প্রতিরোধ করা।

গত মাসে ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আগে উত্তর কোরিয়া একাধিক স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার মধ্যে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সমুদ্র থেকে স্থলে আঘাত হানতে সক্ষম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল, পরীক্ষা করে।

এসআর

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত