গাজা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ট্রাম্প

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ২৭
ছবি: বিবিসি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে তিনি আগামী রবিবার মিশরে গাজা চুক্তির স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন যে এই নতুন চুক্তিতে অঞ্চলটিতে “একটি চিরস্থায়ী শান্তি” প্রতিষ্ঠা করবে। শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ট্রাম্প জানান, ইসরাইলি পার্লামেন্টের (নেসেট) স্পিকার আমির ওহানা তাকে ইসরাইলি আইনসভায় ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এটি হবে ২০০৮ সালের পর প্রথমবার কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেসেটে ভাষণ।

বিজ্ঞাপন

এই গাজা চুক্তিটি আরব এবং পশ্চিমা দেশগুলির বিস্তৃত সমর্থন পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা একে ট্রাম্পের অন্যতম বড় কূটনৈতিক অর্জন হিসেবে বিবেচনা করছেন। অনেকেই বলছেন, এটি বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে পুনর্মিলনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

চুক্তি প্রণয়নে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা ও সাবেক উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তারা জেরুজালেমে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ইসরাইলি সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেন, যেখানে চুক্তিটি অনুমোদন পায়।

চুক্তির সফল সমাপ্তি ট্রাম্পের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। গাজা সংঘাত ও রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে সেই প্রচেষ্টা বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

এদিকে যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠন এবং পুনর্গঠন সহায়তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য পশ্চিমা ও আরব দেশগুলি ইতোমধ্যেই প্যারিসে বৈঠক করেছে। সেখানে মানবিক সহায়তা ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর ইসরাইলের ব্যাপক সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারেরর বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক মানবিক সংকটগুলোর একটি তৈরি করেছে। চলমান উত্তেজনার মধ্যেও এই গাজা চুক্তিকে অনেকেই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্য সূচনা হিসেবে দেখছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত