তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান সতর্ক করেছেন যে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কৃষ্ণসাগরে ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক আক্রমণ সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। এই অস্থিতিশীলতা কেবল এই অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ না থেকে ইউরোপের বিস্তৃত অংশে ছড়াতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিদান বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহে আমরা সরাসরি প্রভাবিত হয়েছি। উভয় পক্ষই বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্য করেছে এবং ড্রোনগুলো আমাদের আকাশসীমায়ও প্রবেশ করেছে।” তিনি উল্লেখ করেছেন, রোমানিয়া ও বুলগারিয়া সহ প্রতিবেশী দেশগুলোকেও একই ধরনের ঘটনার শিকার হতে হয়েছে।
ফিদান আরো বলেন, “কৃষ্ণসাগরের নিরাপত্তা ঝুঁকি কয়েক বছর আগে ভাসমান নৌখেলের কারণে শুরু হয়েছিল, যা কখনো কখনো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইস্তাম্বুল প্রণালী পর্যন্ত পৌঁছেছে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি এত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল যে জাহাজ চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যেতে পারত।”
তিনি বলেন, তুরস্কের সামরিক বাহিনী প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, যাতে নেভিগেশন ও নিরাপত্তার জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকিগুলো পরিচালনা করা যায়। তবে ফিদান জোর দিয়ে বলেন, কেবল সামরিক সমন্বয় পরিস্থিতি সমাধান করতে পারে না।
তিনি উল্লেখ করেন, “এই সমস্যাগুলোর সবচেয়ে দ্রুত সমাধান হল আগ্রাসন বন্ধের চুক্তি। আঙ্কারা সংঘাত বন্ধের প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করছে।”
ফিদান সতর্ক করেছেন যে, উত্তেজনা অব্যাহত থাকলে এর প্রভাব ব্যাপক হতে পারে। তিনি বলেন, “আঞ্চলিক উত্তেজনা খুবই বিপজ্জনক, এবং এটি এখানেই থেমে থাকবে না। এটি ইউরোপের বিভিন্ন অংশেও ছড়াতে পারে।”
এর আগে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছিলেন, কৃষ্ণসাগরে বাণিজ্যিক ও বেসামরিক জাহাজের ওপর হামলা কাউকে উপকৃত করছে না এবং এটি নেভিগেশন নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তিনি আরও জানান, তুরস্ক উভয় পক্ষকে স্পষ্ট সতর্কতা দিয়েছে এবং সংঘাতকে কৃষ্ণসাগরে ছড়ানো রোধ করতে মন্ট্রো কনভেনশন কঠোরভাবে প্রয়োগ করেছে।
এসআর
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

