ফ্রান্সে প্রতি ১০ জনের ৮ জন মুসলমান বর্ণবিদ্বেষের শিকার

ফ্রান্সে মুসলমানদের প্রতি বর্ণবিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপকহারে । ক্রমবর্ধমান এই ইসলাম বিদ্বেষ মুসলমানদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্যারিসের গ্র্যান্ড মসজিদের পক্ষে ইফপ ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। জরিপ অনযায়ী, দেশটিতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৮ জন মুসলমান বিদ্বেষের শিকার। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।

মঙ্গলবার প্রকাশিত জরিপ অনুযায়ী, দেশটিতে পদ্ধতিগত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন মুসলমানরা। যুবসমাজ ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর এর ব্যাপক প্রভাবের বিষয়ে এতে উদ্বেগ জানানো হয়।

প্রধান প্রধান শহরে বসবাসকারী এক হাজার পাঁচ জন মুসলমানের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।

৮২ শতাংশ ফরাসি মুসলমান জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ব্যাপকমাত্রায় বেড়েছে। আর ৬৬ শতাংশ মুসলমান গত পাঁচ বছরে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন-যা সাধারণ জনগণের চেয়ে তিনগুণ বেশি।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে মুসলিম তরুণরা সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। ২৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে ৭৬ বর্ণবাদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

হিজাব পরা নারীদের ৭৫ শতাংশ, ২৫ বছরের কম বয়সীদের ৭৬ শতাংশ এবং সাব-সাহারান বংশোদ্ভূতদের মধ্যে ৮৪ শতাংশ বর্ণবাদী আচরণের শিকার।

তাছাড়া ফ্রান্সে বসবাসকারী প্রতি তিনজনের মধ্যে দুইজন মুসলিম বলেছেন যে তারা ইতোমধ্যেই কোনো না কোনোভাবে ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

মুসলমানরা বেশিরভাগ সময় বৈষম্যের শিকার হন চাকরি, বাসা ভাড়া বা পুলিশি তল্লাশির সময়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫১ শতাংশ চাকরি খোঁজার সময়, ৫১ শতাংশ পুলিশি তল্লাশির সময় এবং বাসা ভাড়া নেয়ার ৪৬ শতাংশ বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

ইফপ জানায়, সরকারি পরিষেবা যেখানে রাষ্ট্রীয় নিরপক্ষেতা বজায় রাখার কথা, সেখানেও মুসলমানদের বৈষম্যের শিকার হওয়া অনেকটাই স্বাভাবিক।

সমীক্ষা অনুসারে, ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে তারা জনপ্রশাসন কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বা স্কুল শিক্ষকের মাধ্যমে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

ভাষাগত সমস্যা, প্রান্তিক এলাকায় বসবাস, হিজাব পরা এবং তরুণ-এরাই সবচেয়ে বেশি ঘৃণার শিকার হন।

আরএ