
এমরানা আহমেদ

স্বৈরাচারী সরকার পতনের মধ্যদিয়ে মানুষ ফিরে পেয়েছে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা। এ কথাটিই যেন অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হয়েছে এ বছর অনুষ্ঠিত অমর একুশে বইমেলায়। এবারকার মেলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ইসলামিক স্টল। ৪০ থকে ৪৫টি ইসলামি প্রকাশনার স্টল স্থান করে নিয়েছে মেলায়। আগের মেলাগুলোয় অল্প কিছু ইসলামি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হতো। এতে ক্রেতাদের ইসলামিক বইয়ের স্টলগুলো খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হতো। এবারকার মেলা থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে তারা পছন্দের বইগুলো সংগ্রহ করতে পারছেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে বিক্রেতা এবং পাঠকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। মেলার ষষ্ঠ দিন ৮০টি নতুন বই জমা পড়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট ২৭০টি নতুন বই জমা পড়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্টল নম্বর ৭৯৩-এর মাকতাবাতুল ইসলামের ম্যানেজার মাহমুদ হাসান জানান, এর আগে বহুবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলায় স্টল বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের স্টল বরাদ্দ দেয়নি। এ বছরই প্রথমবারের মতো মেলায় ইসলামিক স্টল বরাদ্দ নেয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। মেলায় ইসলামিক বইয়ের স্টল বরাদ্দের সংখ্যাও বেশি। তার স্টলে বেশি চলছে ভারতবর্ষে মুসলিম শাসক মুফতি মুহাম্মদ পালনপুরির লেখা ‘হাজার বছরের ইতিহাস’ বইটি। এটি অনুবাদ করেছেন মাওলানা মুহাম্মুদুল্লাহ ইয়াহ্ইয়া। এ ছাড়া পাঠক চাহিদায় স্থান করে নিয়েছে মাওলানা যুলফিকার আহমাদ নকশবন্দির ‘স্বপ্নের সংসার’ এবং শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানি (রহ.) রচিত মুহাম্মদ রাইহান খাইরুল্লাহর অনুবাদ করা ‘কেয়ামত’ বই দুটি। বইগুলোর মূল্য ৬৯০ থকে ৭৭০ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা গেছে, মেলায় ক্রেতারা বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে আসতে শুরু করেন। সন্ধ্যা নামতেই পাঠকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। বিকাল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিক্রি ভালো হয়। যত দিন যাচ্ছে, মেলা জমে উঠছে।
স্টল মালিকরা জানান, বইয়ের বিক্রিও ভালো হচ্ছে। মেলার মাঝামাঝি এবং শেষ সাময়ে বিক্রি তিন-চারগুণ বাড়বে। সরেজমিন আমার দেশ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেলায় আসা পাঠকরা জানান, মেলা থেকে তাদের পছন্দের বই কিনতে পারছেন।
ছোটদের জন্য লেখা মাহমুদ হাসানের ‘ফুল শিশুদের গল্প’ বইটি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এটির দাম ১২০ টাকা। ক্যালিওগ্রাফির ইংলিশ ফ্রন্টের আদলে সাজানো রুহানা পাবলিকেশনসের ৫৩৩-৫৩৪ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে ড. খালিদ আবু শাদির ‘রামাদান’ আত্মশুদ্ধির বিপ্লব, উসতাজ হাসসান শামসি পাশার ‘ডাক দিয়ে যাই তোমায়’ হে মুসলিম তরুণী, শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদের ‘যেমন ছিলেন তিনি (সা.)’ বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।
রুহানা পাবলিকেশনস সব বই ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে বিক্রি করছে। পুরান ঢাকা থেকে আসা শামসুজ্জামান কিনেছেন ‘রামাদান’ বইটি। ইসলামিক বই ও সাহিত্যগুলো পড়তে পছন্দ করেন তিনি।
গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস এনেছে জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারির লেখা দুই বই- ‘ম্যাসেজ’ ও ‘আহ্বান’। এগুলোর মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। বইগুলো পাঠক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। এ ছাড়া এই স্টলের মুহাম্মদ ফারিসের ‘প্রোডাক্টিভ মুসলিম’, হেনরি ফোর্ডের ‘সিক্রেটস অব জায়োনিজম’ এবং আরিফ আজাদের লেখা ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ বইগুলো পাঠক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। গার্ডিয়ান প্রকাশনীর স্টলের সামনে ফার্মগেট থেকে আসা তেজগাঁও কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র সাজিদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, তার প্রিয় লেখক আরিফ আজাদ। এবার লেখকের অনেকগুলো বই কিনবেন তিনি।
তুষারধারায় পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের বই। এই স্টলের বিক্রয়কর্মী আমার দেশকে জানান, আমিনুল ইসলাম মামুনের ‘ছড়ায় ছড়ায় বর্ণমালা’ ‘ভূত দেখেছি কয়েকবার’ বই দুটি শিশু পাঠক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। এগুলোর দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। মিরপুর থেকে মায়ের সঙ্গে এসেছে মীম। তার ভূতের বই পড়তে ভালো লাগে বলে ‘ভূত দেখেছি কয়েকবার’ বইটি কিনেছে।
মিজান পাবলিশার্সের বিক্রয়কর্মী আবির জানান, ‘রাসূল (সা.) এর ২৪ ঘণ্টার আমল’ এবং ‘দু’আ-ই ইবাদত’ বিক্রি বেশি হচ্ছে। এ ছাড়া তাদের স্টলে আশনা হাবীব ভাবনার লেখা কবিতার বই ‘ডানপন্থি কবিতারা’, মিজানুর রহমান লাবুর ‘নারীর মন’, নিমাই ভট্টাচার্যের উপন্যাস ‘মেম সাহেব’ এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরিণীতা’ বইগুলোর চাহিদা বেশি।

স্বৈরাচারী সরকার পতনের মধ্যদিয়ে মানুষ ফিরে পেয়েছে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা। এ কথাটিই যেন অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হয়েছে এ বছর অনুষ্ঠিত অমর একুশে বইমেলায়। এবারকার মেলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ইসলামিক স্টল। ৪০ থকে ৪৫টি ইসলামি প্রকাশনার স্টল স্থান করে নিয়েছে মেলায়। আগের মেলাগুলোয় অল্প কিছু ইসলামি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হতো। এতে ক্রেতাদের ইসলামিক বইয়ের স্টলগুলো খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হতো। এবারকার মেলা থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে তারা পছন্দের বইগুলো সংগ্রহ করতে পারছেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে বিক্রেতা এবং পাঠকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। মেলার ষষ্ঠ দিন ৮০টি নতুন বই জমা পড়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট ২৭০টি নতুন বই জমা পড়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্টল নম্বর ৭৯৩-এর মাকতাবাতুল ইসলামের ম্যানেজার মাহমুদ হাসান জানান, এর আগে বহুবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলায় স্টল বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের স্টল বরাদ্দ দেয়নি। এ বছরই প্রথমবারের মতো মেলায় ইসলামিক স্টল বরাদ্দ নেয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। মেলায় ইসলামিক বইয়ের স্টল বরাদ্দের সংখ্যাও বেশি। তার স্টলে বেশি চলছে ভারতবর্ষে মুসলিম শাসক মুফতি মুহাম্মদ পালনপুরির লেখা ‘হাজার বছরের ইতিহাস’ বইটি। এটি অনুবাদ করেছেন মাওলানা মুহাম্মুদুল্লাহ ইয়াহ্ইয়া। এ ছাড়া পাঠক চাহিদায় স্থান করে নিয়েছে মাওলানা যুলফিকার আহমাদ নকশবন্দির ‘স্বপ্নের সংসার’ এবং শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানি (রহ.) রচিত মুহাম্মদ রাইহান খাইরুল্লাহর অনুবাদ করা ‘কেয়ামত’ বই দুটি। বইগুলোর মূল্য ৬৯০ থকে ৭৭০ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা গেছে, মেলায় ক্রেতারা বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে আসতে শুরু করেন। সন্ধ্যা নামতেই পাঠকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। বিকাল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিক্রি ভালো হয়। যত দিন যাচ্ছে, মেলা জমে উঠছে।
স্টল মালিকরা জানান, বইয়ের বিক্রিও ভালো হচ্ছে। মেলার মাঝামাঝি এবং শেষ সাময়ে বিক্রি তিন-চারগুণ বাড়বে। সরেজমিন আমার দেশ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেলায় আসা পাঠকরা জানান, মেলা থেকে তাদের পছন্দের বই কিনতে পারছেন।
ছোটদের জন্য লেখা মাহমুদ হাসানের ‘ফুল শিশুদের গল্প’ বইটি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এটির দাম ১২০ টাকা। ক্যালিওগ্রাফির ইংলিশ ফ্রন্টের আদলে সাজানো রুহানা পাবলিকেশনসের ৫৩৩-৫৩৪ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে ড. খালিদ আবু শাদির ‘রামাদান’ আত্মশুদ্ধির বিপ্লব, উসতাজ হাসসান শামসি পাশার ‘ডাক দিয়ে যাই তোমায়’ হে মুসলিম তরুণী, শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদের ‘যেমন ছিলেন তিনি (সা.)’ বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।
রুহানা পাবলিকেশনস সব বই ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে বিক্রি করছে। পুরান ঢাকা থেকে আসা শামসুজ্জামান কিনেছেন ‘রামাদান’ বইটি। ইসলামিক বই ও সাহিত্যগুলো পড়তে পছন্দ করেন তিনি।
গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস এনেছে জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারির লেখা দুই বই- ‘ম্যাসেজ’ ও ‘আহ্বান’। এগুলোর মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। বইগুলো পাঠক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। এ ছাড়া এই স্টলের মুহাম্মদ ফারিসের ‘প্রোডাক্টিভ মুসলিম’, হেনরি ফোর্ডের ‘সিক্রেটস অব জায়োনিজম’ এবং আরিফ আজাদের লেখা ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ বইগুলো পাঠক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। গার্ডিয়ান প্রকাশনীর স্টলের সামনে ফার্মগেট থেকে আসা তেজগাঁও কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র সাজিদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, তার প্রিয় লেখক আরিফ আজাদ। এবার লেখকের অনেকগুলো বই কিনবেন তিনি।
তুষারধারায় পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের বই। এই স্টলের বিক্রয়কর্মী আমার দেশকে জানান, আমিনুল ইসলাম মামুনের ‘ছড়ায় ছড়ায় বর্ণমালা’ ‘ভূত দেখেছি কয়েকবার’ বই দুটি শিশু পাঠক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। এগুলোর দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। মিরপুর থেকে মায়ের সঙ্গে এসেছে মীম। তার ভূতের বই পড়তে ভালো লাগে বলে ‘ভূত দেখেছি কয়েকবার’ বইটি কিনেছে।
মিজান পাবলিশার্সের বিক্রয়কর্মী আবির জানান, ‘রাসূল (সা.) এর ২৪ ঘণ্টার আমল’ এবং ‘দু’আ-ই ইবাদত’ বিক্রি বেশি হচ্ছে। এ ছাড়া তাদের স্টলে আশনা হাবীব ভাবনার লেখা কবিতার বই ‘ডানপন্থি কবিতারা’, মিজানুর রহমান লাবুর ‘নারীর মন’, নিমাই ভট্টাচার্যের উপন্যাস ‘মেম সাহেব’ এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরিণীতা’ বইগুলোর চাহিদা বেশি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলনিরপেক্ষ কর্মকর্তা খুঁজতে হয়রান অবস্থা নির্বাচন কমিশন বা ইসির। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দলীয়করণের মাধ্যমে পুলিশ-প্রশাসন থেকে সর্বত্রই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল অনুগতদের। ফলে এখন বিতর্কমুক্ত কর্মকর্তা খুঁজতে গিয়ে বড় ধরনের বিপাকে পড়তে হচ্ছে ইসিকে।
৮ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম ঘিরে ‘মহাপরিকল্পনা’ নিয়ে এগোচ্ছে ভারতসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশের কিছু রাজনীতিবিদ ও সংগঠন। ভারতের চাওয়া এই পার্বত্যাঞ্চল ও ত্রিপুরা নিয়ে ‘গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড’ গঠন আর পূর্ব তিমুরের মতো পৃথক রাষ্ট্র গঠনের তৎপরতা চালাচ্ছে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের কিছু এনজিও।
১ দিন আগে
গণশুনানির কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে—গ্রাহকের অভিযোগ শোনা, নীতিমালা উন্নয়ন ও সেবার মান যাচাইসংক্রান্ত আলোচনা। মিটিংয়ে গ্রাহকরা সরাসরি প্রশ্ন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তখন ওই সমস্যার সমাধান দেবেন। এছাড়া তাদের নতুন কী উদ্যোগ রয়েছে, সেটিও তারা গ্রাহকদের বলবেন। গ্রাহকদের অভিযোগগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্ত
২ দিন আগে
চাল আমদানি বন্ধ হওয়ার গুজব ছড়িয়ে আবার বাজার অস্থির করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মাঠপর্যায়ের চাল ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, করপোরেট কোম্পানিগুলোর স্বার্থের বিরুদ্ধেই বাজারে সরবরাহ বেড়ে দাম কমতে শুরু করেছে। তাই তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির পাঁয়তারা করছে। তবে সরকারে
২ দিন আগে