হোম > সারা দেশ

দুই হাজারের বেশি মামলা আসামি ৪০ হাজার

হাসিনার দুঃশাসনে বিধ্বস্ত জনপদ : বরিশাল

নিকুঞ্জ বালা পলাশ, বরিশাল

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের প্রায় সাড়ে ১৫ বছর বরিশালে ছিল শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই ও তার স্বজনদের একচ্ছত্র আধিপত্য। শেখ মুজিবের ভাগ্নে ও সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এবং তার কথিত ‘৬ খলিফা’র নিয়ন্ত্রণে ছিল জেলাসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চল। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি, বাসস্ট্যান্ড দখল, নমিনেশনবাণিজ্যÑসবকিছুরই নিয়ন্ত্রক ছিল সেরনিয়াবাত পরিবার। রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে তাদের দমন-পীড়নে কোণঠাঁসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। যে কারণে একটা সময় নিজেদের মধ্যেই সংঘাতে জড়ায় আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা।

জানা গেছে, ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের সময় পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন অন্তত ১১ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন একজন। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিরোধী মতাদর্শের কারণে তিনজনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের অন্তর্কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন সাতজন।

এদিকে বিএনপির বিরুদ্ধে দুই হাজারের বেশি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৫ হাজার জনকে। গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী। অন্যদিকে জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর চলেছিল আওয়ামী ও পুলিশি নির্যাতনের স্টিমরোলার। জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে বরিশাল নগরীতে দুই শতাধিকসহ জেলায় মোট সাত শতাধিক মামলা হয়, আসামি করা হয় ১৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে। একইভাবে জামায়াতের এক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার দুঃশাসনে দেশের গণতন্ত্র হত্যা করে কালো দিবসের সূচনা করা হয়। বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা-নির্যাতনসহ ভোটকেন্দ্র দখল, দিনের ভোট রাতে করাÑএর সবগুলোকে ছাড়িয়ে ক্রমান্বয়ে ফ্যাসিস্ট দানবে পরিণত হয় আওয়ামী লীগ ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। আর নব্য দানব সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে বরিশালে হাজার হাজার বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকে হামলা-মামলার শিকার ও কারাবরণ করতে হয়।

নাশকতাকারী ও সন্ত্রাসীর তকমা দিয়ে রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা ও গুম করা হয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের। তবে জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতাসহ বিএনপি নেতাকর্মীর ওপর প্রশাসন ও ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীর তাণ্ডব ছাড়িয়ে যায় নির্যাতনের সব মাত্রা।

আ.লীগ ক্যাডার ও পুলিশের সহযোগিতায় তিনজনকে খুন

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করায় স্থানীয় রাজনৈতিক হত্যার শিকার হয়েছেন জাসদের বানারীপাড়া উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন করীর। ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই দুপুরে চাখার ডাকবাংলো সংলগ্ন মাদারকাঠী বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর হাতে নির্মমভাবে খুন হন তিনি। এ ঘটনায় চাখার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু জড়িত ছিলেন বলে দাবি নিহতের পরিবারের।

অন্যদিকে ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক টিপু সুলতান ওরফে টিপু হাওলাদার ও উপজেলা জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) নেতা মো. কবির মোল্লাকে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করে আওয়ামী পুলিশ।

হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পাননি নিজ দলের নেতাকর্মীরাও

আওয়ামী লীগের অন্তর্কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত সাতজন। মেহেন্দীগঞ্জে বিভিন্ন সময় বিশেষ করে ইউপি নির্বাচন ও ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অন্তত সাতজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে উলানিয়া উত্তর ইউপির স্থগিত হওয়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মনোনীত ও ‘বিদ্রোহী প্রার্থীর’ সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে সিদ্দিকুর রহমান ও ছত্তার ঢালী নিহত হন। তারা দুজনেই আওয়ামী লীগের কর্মী। একই বছর দক্ষিণ উলানিয়ায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম সরদার ও সাঈদ চৌধুরী মারা যান। তারা দুজনই আওয়ামী লীগের কর্মী।

এদিকে ২০২৩ সালে উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়নে দোকানে ঢুকে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। নিহত আরিফ জমাদ্দার (৪০) স্থানীয় মুরগি ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন।

২০২৪ সালে সর্বশেষ ঘটনায় হিজলার ধুলখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মাঝি (৫২) নিহত হন।

এর আগে বরিশালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনি জনসভার মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. শাম্মী আহমেদের সমর্থকদের সংঘর্ষে কৃষক লীগ নেতা সিরাজ সিকদার (৫৮) অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।

গুমের শিকার সহোদর দুই ছাত্রদল নেতাসহ ছয়জন

২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীসহ ছয় প্রভাবশালী ব্যক্তি গুম হয়েছেন। আজও তাদের কোনো হদিস পায়নি পরিবার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর এসব রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে।

২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর খানকে। স্ত্রী রত্না বেগম জানান, নিখোঁজ স্বামীকে ফিরে পাওয়ার আশায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনো সুফল মেলেনি।

বরিশাল নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল হায়দার একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করতেন। ২০১০ সালের ২৫ ডিসেম্বর কোম্পানির কাজে হায়দার তার সহকর্মী কবির হোসেনকে নিয়ে রাজধানীর মহাখালীর একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। হোটেলের নিচতলা থেকে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। তাদের পারিবারিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নিয়েছিলেন তৎকালীন সময়ে র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধান জিয়াউল আহসানের ভাই জিয়াউর রহমান বিপ্লব ওরফে ল্যাটো বিপ্লব। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বরিশাল আদালতে মামলা-সংক্রান্ত বিষয়ে আবুল হায়দার আদালতে যান। তখন আদালত প্রাঙ্গণে হায়দারকে মারধর করতে করতে হুমকি দেন বিপ্লব। এর এক সপ্তাহের মাথায় গুম হন বিএনপি নেতা হায়দার। এরপর থেকে তার হদিস মেলেনি।

২০১২ সালের ৩ এপ্রিল বরিশাল নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতি ফিরোজ খান কালু ও তার ভাই মিরাজকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম থেকে আটক করে। এরপর থেকে তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি। এমনকি গুম হওয়া এ দুই ছাত্রদল নেতাকে ফিরে পেতে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এখনো তাদের অপেক্ষায় দিন গুনছে পরিবার।

২০১৩ সালের আগস্টে গৌরনদীর টরকী এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয় পাশের কালকিনি উপজেলার বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির টিপুকে। এছাড়া ২০১৪ সালে নিখোঁজ হন বরিশাল জেলা টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ওরফে ফাঁসি কামাল। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা থানায় জিডি করার পাশাপাশি র‌্যাব সদর দপ্তরে গিয়েও সুফল পাননি।

হাসানাতের ছিল ছয় খলিফা

আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর দাপটে পুলিশ-র‌্যাবসহ প্রশাসন ছিল তটস্থ। যে কারণে তার সব নির্দেশ পালন করত পুলিশ প্রশাসন। কাকে গ্রেপ্তার করতে হবে কিংবা কার বিরুদ্ধে মামলা দিতে হবেÑতা ঠিক করতেন হাসানাতের ‘ডানহাত’ এবং তার কথিত ‘ছয় খলিফা’র অন্যতম গৌরনদীর পৌর মেয়র হারিচুর রহমান হারিচ। তার ‘প্রেসক্রিপশন’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিত পুলিশ।

প্রশাসন ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, হাসানাত আব্দুল্লাহ তার ছয় খলিফাকে দিয়েই পুরো বরিশাল ও তার অপরাধের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। এদের মধ্যে কেউ দেখতেন জমিজমা, টেন্ডারবাজি; কেউবা দেখতেন হাটবাজার, বালুমহাল, টেম্পুস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, মাছবাজার। তবে নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন ও নেতা বানানোর বাণিজ্য সামলাতেন হাসানাত নিজেই।

সূত্রমতে, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ত্রাসের রাজত্বের প্রধান ছিলেন গৌরনদী পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমান হারিচ। গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। এখানকার টেন্ডারবাজি ও হাটবাজার থেকে সবকিছুই ছিল তার দখলে। এ ছাড়া বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুছ ছিলেন তার বিশ্বস্ত নেতা। তবে পারিবাবিক কেনাকাটা, ভারতে টাকা পাচারের বিষয়গুলো দেখাশোনা করতেন বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম ফারুক।

একইভাবে উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল, বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান খালেদ হোসেন স্বপন এবং মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল হাসান খান মিঠু সব সময়ই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে ঘিরে থাকতেন। যে কোনো সিদ্ধান্ত আসত এসব নেতার মতামতের ভিত্তিতে। তবে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন ও কমিটি গঠন সবকিছুরই নিয়ন্ত্রক ছিলেন হাসানাত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাসানাতের বড় ছেলে ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং বড় মেয়ে কান্তা আব্দুল্লাহ ও ছোট ছেলে আশিক আব্দুল্লাহ মনোনয়নবাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র পদের মনোনয়নে এক কোটি, ইউপি নির্বাচনে ৫০ লাখ থেকে এক কেটি টাকার মনোনয়নবাণিজ্য করে বিগত সাড়ে ১৫ বছরে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে দাবি নির্ভরযোগ্য সূত্রের। এ ছাড়া জেলার সব হাট-বাজার ও বালুমহাল এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন হাসানাতের ছোট ছেলে আশিক। প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করতেন তিনি। এ ছাড়া আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর মেঝ ছেলে মঈন আব্দুল্লাহ নিয়ন্ত্রণ করতেন ঠিকাদারির কাজ।

রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বক্তব্য

বরিশাল সদর-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আমার দেশকে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ২৭টিসহ মোট ৩৫৭ মামলার আসামি হয়েছি। বর্তমানে ৩০টি মামলা চলমান। আলাল বলেন, শেখ মুজিব অন্য দলের সমালোচনা পছন্দ করতেন না বলেই বাকশাল কায়েম করেছিলেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বাকশালের উৎকর্ষ সাধন করে ফ্যাসিস্ট হয়েছেন। তারা রাজতন্ত্রের মনোভাবে ছিলেন বলেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘বিএনপিসহ অন্য সমমনা দলগুলোকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার ছিল, তা-ই করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। তারা মূলত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে স্বৈরাচার থেকে ফ্যাসিস্ট হয়েছিল। আর আওয়ামী অপরাজনীতির শিকার হয়েছিলেন বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে বরিশাল-৫ (সদর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল আমার দেশকে বলেন, আওয়ামী শাসনামলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন জামায়াত নেতাকর্মীরা। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও ভাঙচুরসহ ১৯টি মামলা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় খালাস পেয়েছি। এ ছাড়া বরিশাল মহানগরে দুই শতাধিক এবং জেলায় কমপক্ষে পাঁচ শতাধিকসহ সব মিলিয়ে সাত শতাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এক হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন।

অনিরাপদ সাবমেরিন ক্যাবলের অনুমোদনে সামিট গ্রুপের চাপ

খালেদা জিয়ার লাগানো কাঁঠালিচাঁপার গাছে হাসিনার কোপ

ম্যালেরিয়াবাহী মশার পেটে ৩১০ কোটি টাকা, সুখবর নেই নির্মূলে

দখল-দূষণ সংক্রমণে দুর্বিষহ রাজধানীর নাগরিক জীবন

জামায়াত জোটের শীর্ষ নেতারা প্রার্থী হবেন যেসব আসনে

আইএফআইসির খেলাপি ঋণ ১০ থেকে বেড়ে ৬১ শতাংশ

অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে দেশের শিশুরা

প্রবর্তক সংঘের দখলে বনের দেড় হাজার কোটি টাকার জমি

ইউজিসির তদন্তে আটকা আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগ

চট্টগ্রাম বন্দর চালাবে বিদেশিরা, কমিশন যাবে শেখ পরিবারে