স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় যাতে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আমরা সন্ত্রাসী গ্রুপ ও অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সোমবার (১৪ জুলাই) কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এরআগে,বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি ৮ ডাব্লিউ ক্যাম্পে পৌঁছান এবং পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে পুরো ক্যাম্প এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।
মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে যেন আর মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এবং যে বা যারা অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত তারা রোহিঙ্গা হোক বা স্থানীয়—কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, পরিবেশ সংরক্ষণের অংশ হিসেবে উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার প্রতিবেশ রক্ষায় এক লাখের বেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
সফরকালে তার সঙ্গে ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সন্ত্রাসী তৎপরতা ও মাদক পাচার ইস্যুতে ক্যাম্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) ও সিআইসিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা।
এর আগে সোমবার দুপুরে কক্সবাজার বিয়াম ফাউন্ডেশন আঞ্চলিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও জেলার অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ’ বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় সভা। দুপুর ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত চলা এই সভায় অংশ নেন সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পরে কক্সবাজার থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে তিনি ঢাকার পথে রওনা দেন।