নেত্রকোণার মদন উপজেলার থেকে দিদারুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে ফেকনী গ্রামের সামনের হাওর তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দিদারুল ইসলাম উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের রহিছ মিয়ার ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দিদারুল ইসলামের ৫ বোন ও ২ ভাই রয়েছে। ভাইদের মধ্যে দিদারুল বড়। বছর চারেক আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে সংসার করছিল। হঠাৎ মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। গত ৫ মাস ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে বাড়িতেই বসবাস করছিল। গত শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে বাড়ি ফিরেনী। সকালে ফেকনী গ্রামের হাওরে স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের চাচাতো ভাই মোবারক হোসেন জানান, দিদারুল দীর্ঘদিন আগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে। গত ৫ মাস ধরে উল্টাপাল্টা আচরণ বেশী করছিল। বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই থাকতো। কিন্তু শনিবার বিকেলে কোথায় চলে যায় কেউ বলতে পারেনি। খবর পেয়ে থানায় এসে তার লাশ পেয়েছি। তার সাথে কারো কোন শত্রুতা ছিল না।
মদন থানার ওসি মো. শামসুল আলম শাহ্ বলেন, ‘খবর পেয়ে হাওর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে নেত্রকোণা মর্গে পাঠানো হচ্ছে। পরিবারের লোকজন জানিয়েছে ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তাদের মতামত অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’