হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

মাদারগঞ্জে পানিতে ডুবে ২৫ দিনে ৭ শিশুর মৃত্যু

খাদেমুল ইসলাম, মাদারগঞ্জ (জামালপুর)

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা যেন নীরব মহামারির রূপ নিয়েছে। মাত্র ২৫ দিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পুকুর ও নদীর পানিতে ডুবে ৭ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের মোসলেমাবাদ আইগেনীপাড়া গ্রামে তাসফিয়া নামে দু’বছরের এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। নিহত তাসফিয়া ওই এলাকার বাদশা আলীর মেয়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার স্টেশন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অভিভাবকদের ব্যস্ততা ও পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবকে দায়ী করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তারা বলছেন, অনেক সময় বাবা-মা কাজে ব্যস্ত থাকায় শিশুরা বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে খেলতে গিয়ে বা নদীতে গোসল করতে নেমে অসাবধানতাবশত পানিতে পড়ে যায়। এতে করেই ঘটে প্রাণহানি।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুপুরে তাসফিয়া বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। একপর্যায়ে অগোচরে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। দীর্ঘ সময় তাকে না দেখে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) একই ইউনিয়নের বাকুরচর ঘোনাপাড়া এলাকায় পানিতে ডুবে মোহাম্মদ শান নামে দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। নিহত শান ওই এলাকার সোহেল মিয়ার ছেলে।

গত ৩১ অক্টোবর উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানী আনোয়ার সরকার বাড়ির ঘাট এলাকায় ঝিনাই নদীতে ডুবে সহোদর ভাই-বোনসহ ৫ শিশুর মৃত্যু হয়। নিহত শিশুরা উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানী এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে আবু হোসেন (৮) ও মেয়ে পলি আক্তার (১২), চর ভাটিয়ানী আমতলী এলাকার আজাদের মেয়ে কুলসুম (৮), সরিষাবাড়ি উপজেলার বাউশী এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সায়েবা আক্তার (৮) এবং শেরপুরের নকলা উপজেলার টাংগালিয়া এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে বৈশাখী (১০)।

জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য আসমাউল আসিফ জানান, জামালপুর বন্যা প্রবণ এলাকা হওয়ায় বন্যার সময় পানিতে ডুবে মৃত্যু অনেকাংশে বেড়ে যায়। তবে সাঁতার শেখার কোনো কার্যক্রম না থাকায় সারা বছরই শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। আমাদের দেশে প্রতি এক ঘন্টায় গড়ে তিনজন মানুষ পানিতে ডুবে মারা গেলেও সাঁতার শেখানোর জন্য সরকারি বা বেসরকারি কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। শিশুদের সাঁতার শেখানোর পাশাপাশি পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি।

মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আবু রায়হান বলেন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। অভিভাবকদের সামান্য অসাবধানতা বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে বর্ষাকাল বা শুষ্ক মৌসুমে নদী ও পুকুরের পানির স্তর হঠাৎ পরিবর্তন হলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

ডা. আবু রায়হান আরও জানান, এক থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। তাই শিশুদের সবসময় নজরদারিতে রাখার জন্য বাবা-মা ও অভিভাবকদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

ভালো মানুষকে ভোট দিতে হবে, দুর্নীতিবাজদের নয়: দুদক চেয়ারম্যান

রোহিঙ্গা ও স্বাগতিক জনগোষ্ঠীর সহায়তা কার্যক্রমে ইতিবাচক পরিবর্তন

ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম হাবিবুর রহমানের মৃত্যু

‘একটি কেন্দ্রে ভোট চুরি ২০০ বাড়িতে ডাকাতির সমান অপরাধ’

রামুতে ইয়াবাসহ ভুয়া নৌ সদস্য আটক

জামিনে কারামুক্ত ৩৫ সাবেক বিডিআর সদস্য

হাতিয়ার অজ্ঞান পার্টির প্রধান শামীম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

বদলগাছীতে বিয়ের বাস উল্টে আহত ৩০

বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে নিষ্ফল বৈঠক, স্কপের অবরোধ কর্মসূচি বহাল

বৃহত্তর সুন্নি জোট থেকে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া হবে: তাহেরী