চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ২০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। গত বছরের নভেম্বরের প্রথম ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব্যাংক খাত–সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এখনো রেমিট্যান্স আয়ের প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এ ধারাবাহিকতার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে এবং মুদ্রাবাজারে ডলারের ওপর চাপও কমছে। অবৈধ পথে অর্থ পাঠানোর বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ এবং বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠাতে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনা প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের মার্চে রেমিট্যান্সে সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়। ওই মাসে ৩২৯ কোটি ডলার দেশে এসেছিল, যা এখন পর্যন্ত এক মাসে আসা সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।
এদিকে, চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা ১২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১০ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। সেই অনুযায়ী প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৬ দশমিক ১০ শতাংশ। সর্বশেষ ২০২৪–২৫ অর্থবছরে দেশে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছিল, যা এর আগের ২০২৩–২৪ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৬ বিলিয়ন বা ২৭ শতাংশ বেশি।
তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরে ২৫৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ডলার এবং জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৬ নভেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি (বিপিএম–৬) অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।