ভার্চ্যুয়ালি হাজিরা নিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রশ্ন
আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে ভার্চ্যুয়ালি হাজিরার যে আবেদন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতি, সাবেক সিনিয়র মন্ত্রীদের যে সুবিধা দেয়া হয়নি, সেনা কর্মকর্তাদের কেন দেয়া হবে?
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, গুম ও হত্যা মামলায় যারা আসামি হয়েছেন নিয়মিত তারা ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দেবেন। এখানে ডিফেন্ডের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভার্চ্যুয়ালি হাজিরা দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না আদালত। তারা মনে করে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। সবাইকে ইক্যুয়াল ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়েছে। তারপরও ডিফেন্স পক্ষ বলেছেন, এ বিষয়ে তারা ফের শুনানি করতে চান, তখন আদালত বলেছেন, আবারও শুনবেন। পরে বিচারক এ বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৩ ও ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
তাজুল ইসলাম বলেছেন, আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে আমাদের কাছে এভিডেন্স এসেছে শত শত মানুষকে গুম ও হত্যা করেছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান।
তিনি বলেন, শত শত মানুষের পেট কেটে নদী-নালা, খাল-বিলে লাশ ফেলে দিয়েছেন জিয়াউল। এসব ঘটনার শক্তিশালী এভিডেন্স আমাদের কাছে আছে। এ ধরনের একটা দুর্ধর্ষ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। তদন্ত সংস্থা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে এটাই স্বাভাবিক।