জাতিসংঘ-বাংলাদেশ-মালদ্বীপের সমন্বিত প্রচেষ্টা অভিবাসন ও অভিবাসী কল্যাণে এ অঞ্চলে শান্তি, মানবিক সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করে ঢাকা-ইউএনআরসি।
রোববার মালদ্বীপে জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর (ইউএনআরসি) হাও ঝাং বাংলাদেশ হাইকমিশনের চ্যান্সারি ভবনে হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে জাতিসংঘ, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার এবং বিশেষ করে মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ নিয়ে আলোচনা হয়।
হাও ঝাং মালদ্বীপে জাতিসংঘের অগ্রাধিকারমূলক কর্মক্ষেত্র ও কৌশলগত উদ্যোগ তুলে ধরে জানান, দেশে সবচেয়ে বড় বিদেশি শ্রমশক্তি হিসেবে বাংলাদেশি কর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা তাদের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার।
হাইকমিশনার ড. নাজমুল ইসলাম অভিবাসী অধিকার ও স্বাস্থ্যসেবায় জাতিসংঘের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা মালদ্বীপের সমাজ ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। পাশাপাশি মালদ্বীপের মেডিকেল গ্র্যাজুয়েটদের বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপ সুবিধা ও জনস্বাস্থ্য, শ্রম অধিকার ও মানবসম্পদ উন্নয়নে চলমান সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেন।
এসময় তিনি জাতিসংঘ সংস্থা, মালদ্বীপ সরকার ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে ত্রিপাক্ষিক সেমিনার ও কর্মসূচি আয়োজনের প্রস্তাব দেন, যা ইউএনআরসি স্বাগত জানান।
বৈঠকে দুই পক্ষই নিরাপদ অভিবাসন ও কার্যকর মনিটরিংয়ে আইওএম বাংলাদেশ ও আইওএম মালদ্বীপের সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।