মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যের পর্যটন নগরী ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে স্মরণকালের সব থেকে বড় অভিযানে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন পদের ৫৪৭ জন ইমিগ্রেশন অফিসারের সমন্বয়ে ১৭৪ জন বাংলাদেশীসহ ৪৬৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ।
জানা গেছে, ক্যামেরন হাইল্যান্ডসের তানাহ রাতা, ব্রিনচ্যাং, রিংলেট, কেয়া ফার্ম, ট্রিংকাপ এবং তামান করিনাতে ‘অপস জেমপুর’ নামে পরিচিত একটি মেগা এনফোর্সমেন্ট অপারেশন পরিচালনা করে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
এ সময় ১ হাজার ৮৮৬ জন ব্যক্তিকে চেক করে অভিবাসন বিভাগ। যার মধ্যে ১,৪৪৭ জন বিদেশি এবং ৪৩৯ জন স্থানীয় নাগরিক অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পরবর্তীতে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন লঙ্ঘন ও বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৪৬৮ জন বিদেশি অভিবাসীকে আটক করে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আটককৃতদের মধ্যে মিয়ানমারের নাগরিকরাই সংখ্যায় সব থেকে বেশি ১৭৫ জন। এরপরই আছে বাংলাদেশের ১৭৪ জন, ইন্দোনেশিয়ার ৬৭ জন, নেপালের ২০ জন এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা। আটককৃতদের বেশিরভাগই শ্রমিক ও কৃষক হিসেবে এই অঞ্চলে বসবাস ও কাজ করছিলেন।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যবসায়িক এলাকাসহ, নির্মাণাধীন প্রজেক্ট এবং সবজি খামারসহ আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
এ সময় ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে বসবাসরত অভিবাসীরা বলেন, গত এক যুগেও এমন অভিযান তারা কখন এই অঞ্চলে দেখেননি। অভিবাসন বিভাগে কর্মকর্তারা
মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী ব্যবসা কেন্দ্রগুলোতে ক্যাশিয়ার হিসেবে লোকাল নিয়োগের নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ দোকান বা প্রতিষ্ঠানে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। অভিযানের সময় চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়। এবং বেশিরভাগ বিদেশি কর্মী কর্মব্যস্ততার মধ্যে থাকায় পালানোর সময় পায়নি বলে মন্তব্য করে বার্নামা।
ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের এই অভিযানে মোট ১,৮৮৬ জন ব্যক্তিকে চেক করা হয়েছিল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পাস এবং ভ্রমণের কোনও কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অভিবাসন অপরাধের জন্য ৪৬৮ জন বিদেশিকে এ সময় আটক করা হয়েছে।
আটককৃত সকলকে তদন্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আজিল, কেমায়ান, ল্যাংকাপ, বেরানং, সেমেনিহ এবং KLIA ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, ওয়াইবিএইচজি দাতো’ লোকমান এফেন্দি রামলি, ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশনস), তুয়ান হাজি বসরি বিন ওথমান, এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের ডিরেক্টর এবং ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার্স এবং স্টেট ইমিগ্রেশন ডিরেক্টরদের বেশ কয়েকজন ডিভিশন ডিরেক্টর।