যাপিত জীবনে নাগরিক ক্লান্তির মধ্যে হেমন্ত এসেছে। শহরের অলিগলিতে শীতের পরশ নাগরিক জীবনে কিছুটা শান্তির পরশ দেয়। কোলাহল পূর্ণ এই সময়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ছায়ানটে হয়ে গেল সাংস্কৃতিক সংগঠন নন্দন-এর আবৃত্তি ও গানের যুগল সম্মিলন ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।
এতে আবৃত্তি-গান পরিবেশন করেন নন্দিত আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক সুকান্ত গুপ্ত এবং সংগীতশিল্পী ও শিক্ষক সামিয়া আহসান। আবৃত্তিশিল্পী বর্ষা চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নন্দনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত রায়।
উদ্বোধনী পর্বে নাজমুল আহসানের পরিচালনায় ‘শব্দকল্পদ্রুম’, মেহেদী হাসান আকাশের পরিচালনায় ‘বাংলা আমার’ সমবেত পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করে।
প্রকৃতি ও স্বদেশ বন্দনার মাধ্যমে আয়োজনের শুরু হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, আরণ্যক বসু, হেলাল হাফিজ, রফিক আজাদ, সৈয়দ শামসুল হক, রুদ্র গোস্বামী, মহাদেব সাহাসহ সমসাময়িক কবির কবিতার আবৃত্তি পরিবেশনায় মুগ্ধ হন শ্রোতারা।
পঞ্চকবি গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী সামিয়া আহসান। হলভর্তি শ্রোতাদের পিনপতন নীরবতায় শিল্পীদের যুগল সম্মিলন সবাইকে মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, দেওয়ান সাইদুল হাসান, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বুলবুল ইসলাম, নজরুল সংগীতশিল্পী সালাউদ্দিন আহমেদ, প্রদীপ কুমার নন্দী, তানজীনা তমা, ফারজানা করিম প্রমুখ। সমাপনী বক্তব্য দেন নন্দন-এর পরিচালক ফেরদৌসী কাকলী।