হোম > জাতীয়

জীবনে কেবল ডিগ্রি নয়, সক্ষমতা ও শৃঙ্খলাও জরুরি: আসিফ নজরুল

আমার দেশ অনলাইন

বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে শুধু ডিগ্রি অর্জন যথেষ্ট নয়; এর পাশাপাশি সক্ষমতা, শৃঙ্খলা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

রোববার পূর্বাচল নতুন শহরে অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) সপ্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। একসময় পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্রসরমান অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে সেগুলোর ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপের অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে যে দেশ গঠনে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দেশ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পেরেছে, তারাই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যক্তি ও পরিবার প্রাধান্য পেয়েছে, প্রতিষ্ঠান নয়। ফলে অর্জন থাকলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

বক্তব্যের শুরুতে ড. আসিফ নজরুল শহীদ ওসমান হাদির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তিনি।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। তিনি বলেন, আজকের গ্র্যাজুয়েটরা মেধাবী ও সাহসী; কারণ জ্ঞানার্জন এখন আর শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নেই। প্রযুক্তির বিকাশের ফলে শিক্ষার পরিসর যেমন বিস্তৃত হয়েছে, তেমনি সৃষ্টি হয়েছে নতুন চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে তরুণদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান। এছাড়া বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নওজিয়া ইয়াসমীনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ।

এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের মোট ৬৭২ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থী চ্যান্সেলর’স গোল্ড মেডেল, চারজন ভাইস-চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

সমাবর্তন উপলক্ষে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েটরা অংশ নেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে ছয়টি সমাবর্তনে ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালে। এবারের সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ; গাউন ও হ্যাট পরিহিত গ্র্যাজুয়েটদের আনন্দে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ।

পবিত্র শবে মেরাজ ১৬ জানুয়ারি

আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে গোল্ডসহ ১১টি পদক জয় বাংলাদেশের

এবার দিল্লির বিবৃতির পাল্টা জবাব দিলো ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন কাল, ঘোষণা হবে কর্মসূচি

নির্বাচনে ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে বিমানবাহিনী

ইতিহাসের সব রেকর্ড ভাঙল স্বর্ণের দাম

প্রশিক্ষণ নিয়ে সার্বিয়া যাচ্ছে ১১ কর্মী

হাদি হত্যা: ফয়সালদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকা লেনদেন

নির্বাচনে দেশীয় পর্যবেক্ষকদের আবেদনের সময় বাড়ল

২০ দিনে প্রবাসীরা পাঠালেন ২৬ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা