ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাহমুদুর রহমান
আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে আমাদের তরুণদেরকে মিলিটারি ট্রেনিং দিয়ে রাখতে হবে। তাহলেই আমরা এক্সটার্নাল থ্রেট মোকাবিলা করতে পারবো।
জুলাই বিপ্লবের প্রথম বর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় উদযাপন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে আমাদের ৪ হাজার কিলোমিটারের সীমান্ত। ভারত একটি হিন্দুত্ববাদী ও আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র। তেমনি মিয়ানমারও একটি বৈরি রাষ্ট্র। তাই দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদেরকে সতর্কভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ ও বাইরের হুমকি মোকাবেলায় আমাদের দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। সামরিক দিক দিয়ে ভারত একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র, এটমিক পাওয়ার স্টেট। তাই আমাদের ১৮ কোটি জনগোষ্ঠীকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। সেজন্যই তরুণদেরকে সামরিক ট্রেনিং দিয়ে রাখতে হবে।
মাহমুদুর রহমান বলেছেন, এই বিপ্লব কোনো সাধারণ বিপ্লব ছিল না, এটি ছিল ৭১-এ অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব লুণ্ঠনকারী ফ্যাসিস্ট এবং ভারতীয় হেজিমনির (আধিপত্যবাদের) বিরুদ্ধে। এই বিপ্লব দেশের মানুষের উপর ফ্যাসিবাদী শাসন চেপে বসেছিল তার বিরুদ্ধে হয়েছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলমান অধ্যুষিত দেশ। আয়তনের হিসাবে খুব বড় না হলেও জনসংখ্যার হিসেবে এটা বিশাল রাষ্ট্র। যেকোনো এক্সটার্নাল থ্রেট প্রথমে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাছ থেকেই আসে। সামরিক দিক দিয়ে আমরা শক্তিশালী না; কিন্তু পার্শ্ববর্তী ভরত সামরিক শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র। আমাদের তরুণরা বুলেট ভয় পায় না। তাদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে যখনই এরকম কোনো হুমকি আসবে, আমাদের তরুণেরা তা মোকাবিলা করতে পারবে।
মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান নিয়ে সতর্ক করে বলেন, পার্শ্ববর্তী ভারতের সাথে আমাদের ৪ হাজার কিলোমিটারের বর্ডার রয়েছে। ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র, আরেক পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্র। আমরা মুসলমানরা যে রাষ্ট্র হিসেবে পরিবেষ্টিত আছি; সেখানে কিন্তু ধর্মের মানুষের বসবাস। বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে এমন কোনো দেশ থাকবে না যারা ১৮ কোটি মুসলমানদের দেশকে পরাজিত করতে পারবে।
এই হুমকি মোকাবিলা করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই বিপ্লব কোনো সাধারণ বিপ্লব ছিল না, এটি ছিল ৭১ এ অর্জিত স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব লুণ্ঠনকারী ফ্যাসিস্ট এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। এই বিপ্লব বাংলাদেশের মানুষের উপর ফ্যাসিবাদী শাসন চেপে বসেছিল তার বিরুদ্ধে হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, জিয়া পরিষদ, গ্রীণ ফোরাম, শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।