হোম > জাতীয়

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের আগে জুয়েলকে ফোনে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তাপস

তদন্ত প্রতিবেদন

আমার দেশ অনলাইন

সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তরে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে জাতীয় স্বাধীন কমিশনকে দেওয়া সাক্ষীদের জবানবন্দিতে।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত এবং মূল সমন্বয়কারী ফজলে নূর তাপস বলে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ওই ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত কমিশন।

শেখ ফজলে নূর তাপস ফোনে নির্দেশ দিয়েছিলেন একটি ছেলেকে মিছিল সংগঠিত করে বিডিআরে প্রবেশ করাতে। ফোন কলটি ডিজিএফআই রেকর্ড করেছিল। পরবর্তীতে হাজারিবাগের একটি বাসা থেকে ছেলেটিকে ধরা হয়। বয়স আনুমানিক ২১-২২ বছর, পাতলা গড়নের, নাম সম্ভবত জুয়েল। মেজর মনির তাকে ধরেন। লে. কর্নেল মোয়াজ্জেম নির্দেশ দিয়েছিলেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টিএফআইতে নিতে, কিন্তু লে. কর্নেল সালেহ নির্দেশে মেজর মনির তাকে র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করেন—কমিশনে দেওয়া ৮৫ নম্বর সাক্ষী মেজর সৈয়দ মনিরুল ইসলাম তার জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এই সাক্ষী কমিশনকে আরো জানায়—প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছেলেটি স্বীকার করে যে তাপসের নির্দেশেই সে মিছিল নিয়ে ভেতরে ঢুকেছিল। প্রথমে তার সঙ্গে বেশি লোক না থাকলেও বের হওয়ার সময় অনেক লোক ছিল। জুয়েল জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিল যে মিছিলে যুবলীগের লোকজন অংশ নিয়েছিল। এ তথ্য মেজর মনির লে. কর্নেল সালেহকে জানায়। পরে কর্নেল আলমাস রাইসুল গনি একটি ওভারঅল রিপোর্ট তৈরি করেন যেখানে ফ্যাক্ট, ইনসিডেন্ট ও ফাইন্ডিংস আকারে সবকিছু উল্লেখ করা হয়। সেই লেখাটি সরকারের পক্ষে ছিল না এবং মেজর মনির মনে করেন যে এ রিপোর্ট দেওয়ার পর কর্নেল আলমাস রাইসুল গনির অবস্থান দুর্বল হয়ে যায়।

জবানবন্দিতে আরো উঠে এসেছে—২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল হাকিম আজিজ ও মেজর মনির এপিসি নিয়ে ভিতরে ঢোকেন। গেইট থেকে প্রায় দুইশত গজ ভিতরে যাওয়ার পর তারা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিককে দেখেন। মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিক এপিসি নিয়ে ভিতরে ঢোকার কারণে প্রচণ্ড ক্ষোভে ব্রিগেডিয়ার হাকিমকে গালিগালাজ করেন।

প্রসঙ্গত, ‘বিডিআর বিদ্রোহ’ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহী জওয়ানদের হামলায় নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তা। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গতবছরের ১৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। মইন ইউ আহমেদ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সময় সেনাপ্রধান ছিলেন।

হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল

‘হঠাৎ স্লোগান দিতে দিতে পিলখানায় ঢোকে ২৫ জন’

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আবেদন সাপেক্ষে ভোটার হতে পারবেন তারেক রহমান: ইসি সচিব

‘দূষণমুক্ত শহর গড়তে সিটি কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয় হতে হবে’

পিলখানায় কীভাবে হত্যাযজ্ঞে রূপ নিল, উঠে এলো সাক্ষীদের জবানবন্দিতে

খালেদা জিয়া দেশবাসীর অভিভাবক, জাতির ঐক্যের প্রতীক : ব্যারিস্টার অসীম

মেট্রোরেলের নিরাপত্তা আরও জোরদার হচ্ছে

মেট্রোরেল যাত্রীদের জন্য বড় সুখবর

তারেক রহমানের দেশে আসতে আইনগত কোনো বাধা নেই