চিকিৎসক আব্দুল আহাদ
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি। আজ সোমবার দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে অসপ্রে এভিয়েশনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আহত হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে যাত্রা করে।
হাদির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি, আবার উন্নতিও হয়নি। তাই তাকে দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে। আর এর মূল কারণ ইনফেকশন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বিদেশ নেওয়া প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হাদির চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা ঢাকা মেডিকেল কলেজ নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ এলায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. আব্দুল আহাদ এ তথ্য জানান।
আব্দুল আহাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের হাসপাতালের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসার পার্থক্য খুব একটা নেই। কিন্তু ইনফেকশন (সংক্রমণ) রেট জিরো (শূন্য সংক্রমণ) না হওয়ায় হাদিকে সিঙ্গাপুরের জেনারের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘হাদির শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। উন্নতি না হলেও অবনতি হয়নি। ফুসফুসের সমস্যা আগের মতো রয়েছে। নতুন করে কোনো সিটিস্ক্যান হয়নি। তবে মেডিকেল বোর্ড সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হাদির শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী রেফার করতে (দেশের বাইরে নিতে) বাধা নেই। এজন্য সিঙ্গাপুর থেকে যে টিম এসেছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এই চিকিৎসক আরো বলেন, ‘হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা এখনো উদ্বেগজনক। মস্তিষ্কে অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে। ফলে ফিরে আসা কঠিন। তবে জুলাই বিপ্লবে আমরা হাদির মতো অনেকের সংকট মুহূর্তের রোগীকে ফিরে আসতে দেখেছি। আশা করছি তিনিও আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’
এর আগে সোমবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ওসমান হাদিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের করা হয়। পরে দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা দেয়।
গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনি প্রচার শেষে ফেরার পথে বিজয়নগরের কালভার্ট এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারাত্মক আহত হন ওসমান হাদি। এতে গুলি তার মাথার ডান পাশে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হয়।
উন্নত চিকিৎসার আশায় একই দিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে পরিবারের সিদ্ধান্তে হাদিকে এভারকেয়ারে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এতদিন সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।