হোম > জাতীয়

ভাষণের আগে উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস

আমার দেশ অনলাইন

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড ভাষণটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বলে জানানো হয়।

জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশসহ গণভোটের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে। ভাষণের আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তারই সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

আরো জানা যায়, উপদেষ্টা পরিষদের ওই বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর আগামী সপ্তাহের শুরুতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫’ জারি হতে পারে। তবে আদেশ রাষ্ট্রপতি জারি করবেন, নাকি প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বৈঠকে বিষয়টির আইনি দিক পর্যালোচনা করা হবে। আইনগত কোনো জটিলতা না থাকলে প্রধান উপদেষ্টাই জারি করবেন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ। না হলে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমেই আদেশ জারি করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার এই ভাষণ খুবই সংক্ষিপ্ত হবে। সচরাচর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ সম্প্রচারের আগে রেকর্ড হয়ে থাকলেও আজ সরাসরি সম্প্রচার হবে। জুলাই আদেশ বাস্তবায়ন সম্পর্কিত উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তই তিনি ভাষণ আকারে পাঠ করবেন। জুলাই সনদের বিষয় ছাড়াও তার ভাষণে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রসঙ্গও আসতে পারে।

এর আগে আদেশ জারির বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো এই আদেশের বিপক্ষে। তাদের দাবি, যেটা হবে তা সংসদের মাধ্যমেই হতে হবে। তাদের অবস্থান, বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার এ ধরনের কোনো আদেশ জারির আইনগত সুযোগ নেই। আর যদি কোনো অধ্যাদেশ জারি করতেই হয়, তা রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে হতে হবে। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দল ও এনসিপি চায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ আদেশে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হতে হবে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে মতভেদ তৈরি হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছাতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। গত ৩ নভেম্বর সরকারের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর সময় এও বলা হয় যে, দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত দেবে। সরকারের ওই ঘোষণার পর জামায়াতে ইসলামীর তরফ থেকে বিএনপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা করা হলে তাতে সাড়া মেলেনি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো রাজনৈতিক দল নয়, সরকার ডাকলেই তারা আলোচনায় অংশ নেবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে গত মাসের শেষদিকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। বিএনপিসহ কয়েকটি দল ওই সুপারিশের বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি তোলে। গণভোটের সময়সহ কিছু বিষয় নিয়ে জামায়াতে ইসলামীরও পর্যবেক্ষণ রয়েছে। এনসিপিরও আপত্তি রয়েছে কিছু ক্ষেত্রে। পরে সুপারিশের সার্বিক দিক পর্যালোচনার জন্য আইন উপদেষ্টাসহ পাঁচজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টারা একাধিক বৈঠকসহ বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছেন। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতিসহ কমিশনের একাধিক সদস্যের সঙ্গেও কথা বলেন তারা। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টার পরিষদের একটি বিশেষ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বসেছে উপদেষ্টা পরিষদ

১২ ঘণ্টায় অন্তত সাতটি যানবাহনে আগুন

খেলোয়াড়রা সহযোগিতা না করলে নিরপেক্ষতা হারাবে কমিশন

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে উঠে আসবে গণভোটসহ ৩ প্রসঙ্গ

আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী নাশকতায় পুড়ল ১৪ বাস, ফুটল ১৭ ককটেল

হাসিনার রায়ের তারিখ জানা যেতে পারে আজ

ডিএমপি কমিশনারকে নিয়ে অপপ্রচার: কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি

‘নতুন কুঁড়ি’ সেরাদের হাতে পদক তুলে দিবেন প্রধান উপদেষ্টা

ডাকসুতে হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল