ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ রুবাইয়াত কবির
দেশের বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার সকালে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। ফাটল দেখা দিয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ভবনে। এমন প্রচণ্ড ঝাঁকুনির ভূমিকম্প দেশবাসী আর কখনো দেখেনি বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ রুবাইয়াত কবির।
ভূমিকম্পটিকে গত তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ উল্লেখ করে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ রুবাইয়াত কবির বলেছেন, ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ আগে থেকেই ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে আজকের এই মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে সবাইকে নতুন করে ভাবাচ্ছে।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পটিতে যে ধরনের প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে, তা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিকট অতীতের তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে অনেক ভুমিকম্প হলেও এ ধরনের প্রচণ্ড ঝাঁকুনি ইতোপূর্বে এ দেশের মানুষ আর কখনো দেখেনি। আর দিনের বেলায় হওয়ায় সবাই তা প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করেছে।
রুবাইয়াত কবিরের ভাষ্য, আজকে যে অঞ্চলে ভূমিকম্পটি হয়েছে, সেটি ইন্দো-বার্মা টেকনিক প্লেটের অংশভুক্ত ছিল। ভূমিকম্পটিতে যে ধরনের প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে, তা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সর্বোচ্চ। ইতোপূর্বে এ ধরনের প্রচণ্ড ঝাঁকুনির ভূমিকম্প আর কখনও বাংলাদেশে অনুভুত হয়নি।
আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী।
ভূমিকম্পটিকে মাঝারি মাত্রার বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন নেসা আমার দেশকে জানান, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭ এবং এর কেন্দ্রস্থল নরসিংদীর মাধবদী এলাকায়।
তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। কেন্দ্রস্থল নরসিংদী থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে। গভীরতা ১০ কিলোমিটার।
অন্যদিকে ইউরোপিয়ান সিসমোলোজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।