ফিলিস্তিনের গাজার রক্তাক্ত মাটি থেকে হিজরত করে রাফা সীমান্তে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৩০০ এতিম ও আশ্রয়হীন শিশুর জীবনে ফিরল নতুন আলো। দীর্ঘদিন অর্থাভাবে বন্ধ থাকা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করল হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই দায়িত্ব নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক নওমুসলিম মুহাম্মদ রাজ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে পালিয়ে আসা এই শিশুদের কেউ বাবা হারিয়েছে, কেউ মা—কারো পুরো পরিবারই নিশ্চিহ্ন। এরা অনেকেই ইসলামী পরিবেশ তো দূরে থাক, জীবনের মৌলিক আশ্রয়টুকুও পায়নি।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের জন্য পাঠদান শুরু হয়েছে। ৩০০ শিক্ষার্থীর জন্য একটি বড় ভবন ভাড়া করে ক্লাস চালু করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি সিলেবাস অনুসরণ করা হচ্ছে, যাতে তারা নিজেদের ইতিহাস ও পরিচয় না ভোলে। ইসলামিক স্টাডিজ এবং আত্মিক উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা দাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় এই সংগঠনটি মিশর ও গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করছে। শুধু এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নয়, বরং গাজার ভেতরেও বাংলাদেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের দিকনির্দেশনায় মানবিক কার্যক্রম চলছে নিরলসভাবে।