নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতি এখন ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংকালে বাসস-এর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন প্রস্তুতি কতটা এগিয়েছে— বাসস-এর এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘যদি শতকরা হিসেবে বলেন, তাহলে বলতে পারি আমরা এখন ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রস্তুত। রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন এই সপ্তাহে সম্পন্ন হলে, প্রস্তুতি শতভাগে পৌঁছাবে।’
ইসি সচিব আরো জানান, কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী দুটি বিষয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে কমিশন। দুটি জায়গায় অগ্রগতি কিছুটা ধীর। একটি হলো রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, অন্যটি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন। ২২টি রাজনৈতিক দলকে আমরা প্রাথমিকভাবে বিবেচনাযোগ্য মনে করেছি। এদের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে অতিরিক্ত কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা তা সম্পন্ন করতে পারব।’
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা সামান্য পিছিয়ে আছি, তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
ইনশআল্লাহ যতটুকু সময় আছে, আমরা সেটুকুতে কভার করে নিতে পারবো।’
পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর পর্যালোচনা চলছে। কিছু জায়গায় সাংবাদিকদের তথ্য-সীমাবদ্ধতা পূরণ করেছেন। আশা করছি, এই সপ্তাহের মধ্যেই পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনও শেষ হবে।’
আরপিও সংশোধনে বিএনপি’র অপত্তির বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘বর্তমানে বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে, কমিশন পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।’
আরপিও সংশোধনের পরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয় নিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘আরপিও সংশোধনের আগে ঐকমত্য কমিশন দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো সাংঘর্ষিক বিষয় দেখা যায়নি।’
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন আরপিও প্রস্তাবনাগুলো পাঁচটি দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করেছে— যেগুলো স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে, যেগুলো ভাষাগত বা সংখ্যাগতভাবে সামান্য সংশোধনযোগ্য, যেগুলো রাজনৈতিক ঐক্যমত ছাড়া সম্ভব নয়, যেগুলো বিদ্যমান আইনে পর্যাপ্তভাবে নির্ধারিত এবং যেগুলো কমিশনের নিজস্ব বিবেচনায় সংশোধনযোগ্য মনে হয়েছে। এই পাঁচটি দিক বিবেচনা করেই সংশোধন প্রস্তাবনাটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হয়েছে এবং তারা নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন।’
এনসিপি’র প্রতীকের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবারে ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশন ইতোমধ্যেই তাদের অবস্থান জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো বিকল্প প্রস্তাব কমিশনের কাছে আসেনি। এখনও কমিশনের আগের অবস্থানেই আছে। কমিশন যেটা বলেছে, যে তারা সহবিবেচনায় একটা প্রতীক বরাদ্দ করে দিবে। সেটাই হচ্ছে এখন পর্যন্ত অবস্থান।