হোম > জাতীয়

আ.লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান সিটিজেন ইনিশিয়েটিভের

আমার দেশ ডেস্ক

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের যে আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো; তা প্রত্যাখ্যান করেছে সিটিজেন ইনিশিয়েটিভ। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে সংগঠনটি।

এতে বলা হয়, সিটিজেন ইনিশিয়েটিভ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি যৌথ চিঠি প্রেরণ করেছে, যেখানে অন্যান্য সুপারিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্কার প্রক্রিয়ায় তাদের ধারাবাহিক আগ্রহ ও সম্পৃক্ততাকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই; তবে আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে দলটি পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ও গুমের মতো ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত করেছে, তাদের কর্মকাণ্ড পুনরায় চালু করার প্রস্তাব গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের নীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসন, শেখ মুজিবুর রহমানের (১৯৭২–১৯৭৫) একদলীয় স্বৈরশাসন থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার (২০০৯–২০২৪) পুলিশি রাষ্ট্রব্যবস্থা পর্যন্ত একটি বংশানুক্রমিক ফ্যাসিবাদী কাঠামো গড়ে তুলেছিল, যা স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে দমন-পীড়ন ও আতঙ্কের এক নজিরবিহীন যুগ প্রতিষ্ঠা করেছিল।

হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিচারব্যবস্থাসহ সব প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা হয়েছে বিরোধী মত দমনে ও গণতান্ত্রিক পরিসর ধ্বংসে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যে র‌্যাব ও ডি-জিএফ-আই এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যার মধ্যে প্রায় ৩,৫০০টি গুমের ঘটনা জাতীয় গুম তদন্ত কমিশন কর্তৃক ধারনা করা হয়েছে।

এমন একটি দলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো মানে হচ্ছে গণতান্ত্রিক বহুদলীয়তার ভুল অজুহাতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকারদেরকে তাদের নির্যাতনকারীদের সঙ্গে আবারও সহাবস্থানে বাধ্য করা। ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় যে জার্মানিতে নাৎসি পার্টি ও ইতালিতে ফ্যাসিস্ট পার্টিকে তাদের নৃশংসতা ও গণতন্ত্র ধ্বংসের অপরাধে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

আজকের কোনো বিশ্বাসযোগ্য মানবাধিকার কাঠামো “বহুদলীয় গণতন্ত্র” এর নামে ওই দলগুলোর পুনঃপ্রতিষ্ঠার পক্ষে অবস্থান নেয় না। বাংলাদেশও তার গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের স্বার্থে একই নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য। যারা জাতিকে একদলীয় শাসন ও রক্তাক্ত দমননীতির দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাদের পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ দেওয়া ইতিহাসের প্রতি অবিচার হবে।

সুতরাং, আমরা বিশ্বাস করি পূর্ণ জবাবদিহিতা ও বিচার নিশ্চিত না করে আওয়ামী লীগকে পুনরায় বৈধতা দেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টা শহীদ, নিখোঁজ ও নির্যাতিতদের স্মৃতির প্রতি চরম অবমাননা।

সিটিজেন ইনিশিয়েটিভ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা ও নৈতিক সামঞ্জস্যের সঙ্গে মূল্যায়ন করুন। বিচার হতে হবে রিকন্সিলিয়েশনের আগে; কারণ বিচারবিহীন গণতন্ত্র কখনো টিকে না। আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান তাই অবিবেচনাপ্রসূত ও বিপজ্জনক।

ইভিএম সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্ত

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে আটক ১৫১

অনিয়ম বন্ধে প্রয়োজনে পুরো আসনের ভোট বাতিল

প্রধান উপদেষ্টার সৌদি সফর বাতিল

সাংবাদিকদের ওপর হামলার সাজা এক মাসের ছুটি!

প্রকৃত ভাতাভোগীদের ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট খুলছে

আইন সংশোধন, ‘শ্রমিক’ মর্যাদা পেলেন গৃহকর্মী-নাবিকরা

সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে না লড়ার যে কারণ জানালেন আইনজীবী সারোয়ার

সংগঠিত ধর্ষণগুলো স্থিতিশীলতা-সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা