দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরো ঘণীভূত হয়েছে। গত রাতে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ‘মন্থা’ নাম ধারণ করেছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা কিংবা রাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূল থেকে অনেক দূরে অবস্থান করায় এর তেমন কোনো সরাসরি প্রভাব দেশের ওপর পড়বে না। তবে এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি এবং মঙ্গলবার রাত থেকে সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূল থেকে অনেক দূরে থাকায় বাতাসের গতি তুলনামূলক কম। তবে গভীর সমুদ্রে বাতাসের গতি বেশ বেশি রয়েছে। তাই জেলেদের গভীর সাগরে না যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সোমবার সকালে আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিবাগত রাত ৩টার সময় ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১,৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা থেকে ১,২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা থেকে ১,২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে এবং ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা বা রাতে ভারতের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর অত্যন্ত উত্তাল রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে দেশের ৪টি সমুদ্রবন্দর—চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রায় ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।