হোম > রাজনীতি

তাহলে কি ফ্যাসিস্টদের বুলিংয়ের শিকার হয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন রুমী

ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ

রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রী জান্নাত আরা রুমীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে জিগাতলা পুরাতন কাঁচাবাজার রোড এলাকায় অবস্থিত জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেলের পঞ্চম তলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। জান্নাত আরা রুমী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (ধানমন্ডি থানা) সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন।

রুমীর মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠছে ক্রমাগত হুমকি ও বুলিংয়ের শিকার হয়েই কি তিনি `আত্মহত্যা'র পথ বেছে নিয়েছেন?

রুমীর লাশ উদ্ধার হওয়ার পর এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছন ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি এ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ওদের একটারও স্বাভাবিক মৃত্যু হবে না। ফোকাস থাকবে একটার উপর। আর নন ফোকাসড একেকটা মরবে।

এদিকে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ক্রমাগত হুমকি ও বুলিংয়ের শিকার হয়ে আমাদের নেত্রী জান্নাতারা রুমী পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পাননি। তথ্য প্রমাণসহ অভিযুক্তদের ফেইসবুক আইডি, ফোন নম্বর পুলিশের কাছে দেওয়া হলেও তারা একজনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়নি।

সামান্তা বলেন, ওসমান হাদির মস্তিষ্ক ভেদ করে যাওয়া বুলেট যেমন আমাদেরকে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলেছে। রুমির ঝুলন্ত লাশ আমাদেরকে এই বাংলাদেশের সকল মানুষকে এবং আমরা যারা এনসিপিসহ জুলাইয়ের সম্মুখসারীর যোদ্ধা... সকলকে এই ঝুলন্ত অবস্থায় আমরা দেখতে পাচ্ছি।

ছাত্রশক্তির সভাপতি জাহিদ হাসান বলেন, এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমি আজ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। তাকে দীর্ঘদিন ধরে সাইবার বুলিং করা হয়েছিল, থানায় জিডি করেও কোনো প্রতিকার পাননি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘কিভাবে লিখবো বুঝতেছি না। আমার হাত কাঁপতেছে। আপনাদের মনে থাকার কথা, গত মাসে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের দিন ধানমন্ডি ৩২-এ ফ্যাসিস্ট ও খুনি আওয়ামী লীগাররা কী সিন ক্রিয়েট করেছিলো। সেখানে একজন জেন-জি নারীকে আপনারা দেখেছিলেন এক আওয়ামী লীগারকে (যে জিয়ার কবর খুড়তে চাইছিলো) পিটায়ে পুলিশের কাছে ধরায়ে দিতে। সেই জেন-জি নারী গত এক মাস ধরে আওয়ামী লীগের ক্রমাগত সাইবার বুলিং, হত্যা ও রেপ থ্রেটে অতিষ্ঠ হয়ে আজ রাতে আত্মহত্যা করেছে।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা) ফেসবুক পোস্টে বলেন, জান্নাত আক্তার রুমির আত্মহত্যাকে আমরা আত্মহত্যা হিসেবে দেখতে রাজি নই। এটা খুন। যারা আমার বোনের জীবনকে তছনছ করে দিয়েছে, তাদের জীবন আমরা শান্তিতে কাটাতে দেবো না। আমার বোনের রক্তের শপথ!

রুমীর মৃত্যু কারণ সম্পর্কে তার স্বজনেরা বলেন, হতাশা থেকে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন রুমী। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানান তারা।

বিষয়টি নিয়ে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

হাদির মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

হাদির মৃত্যুতে বিএনপির শোক

হাদির শাহাদাত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি

আল্লাহ মহান জুলাই বিপ্লবী ওসমান হাদীকে শহিদ হিসেবে কবুল করেছেন

কাল-পরশু মিত্রদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করবে বিএনপি

ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন তারেক রহমান

দেশপ্রেম প্রশংসনীয়, তবে তা যেন কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করে

বিমানবন্দর থেকেই এভারকেয়ারে মায়ের কাছে যাবেন তারেক রহমান

রুমী পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও সুরাহা পাননি: সামান্তা

নিরাপত্তা চেয়ে ১ মাস আগে জিডি করেছিলেন রুমী