জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় বার্ষিক আয় হিসেবে ১৬ লাখ টাকা উল্লেখ করেছেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৩২ লাখ ১৬ হাজার ১২২ টাকা। পাশাপাশি তার নামে ব্যাংক ঋণ রয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে প্রার্থী হিসেবে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
হলফনামা অনুযায়ী, নাহিদ ইসলামের পিতার নাম মো. বদরুল ইসলাম জমির, মাতা মমতাজ নাহার এবং স্ত্রী ফাতেমাতুজ জোহরা। তিনি বর্তমানে পেশায় পরামর্শক। এর আগে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক।
হলফনামা থেকে জানা যায়, নাহিদ ইসলামের কোনো বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, কৃষি, অকৃষি জমি নেই। নেই আগ্নেয়াস্ত্র ও মামলা। ব্যাংকে ঋণ আছে সাড়ে তিন লাখ টাকার। শিক্ষকতা, পরামর্শ দিয়ে বছরে আয় ১৬ লাখ টাকা। নিজের কাছে নগদ আছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর কাছে আছে ২ লাখ টাকা। ব্যাংকে আছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৩৬৩ টাকা ৫৭ পয়সা।
এছাড়া নিজের পৌনে ৮ লাখ টাকা মূল্যের অলংকার এবং স্ত্রী আছে ১০ লাখ টাকা মূল্যের গহনা। এক লাখ টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাব আছে এক লাখ ৭০ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে এনসিপি প্রধানের ৩২ লাখ ১৬ হাজার ১২২ টাকার সম্পদ। গত বছর আয় ছিল ১৩ লাখ ৫ হাজার ১৫৮ টাকা। আয়কর দিয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ২৭৪ টাকা।
নাহিদ ইসলামের নামে কোনো বাড়ি, ফ্ল্যাট, গাড়ি, কৃষি বা অকৃষি জমি নেই। তার নামে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা মামলা থাকার তথ্যও নেই।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটগতভাবে অংশ নিচ্ছে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ সংসদীয় আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত। আপিল দায়ের করা যাবে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি এবং চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।