হোম > রাজনীতি

ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেব: নিউইয়র্কে জামায়াত আমির

স্টাফ রিপোর্টার

ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। একইসঙ্গে দেশে নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে বলে জানান তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, আমাদের বদনাম দেয়া হয় যে, ক্ষমতায় গেলে আমরা নাকি নারীদের ঘরে তালা দিয়ে রাখব। আমরা কথা দিচ্ছি- তারা আদব-সম্মানের সঙ্গে কাজ করবেন। সমাজ তাকে নিরাপত্তা ও ইজ্জত দিতে বাধ্য হবে। আমরা সুযোগ পেলে তাদের প্রতি বাড়তি হিসেবে ইনসাফ নিশ্চিত করবো। মায়েদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়া দেয়াই হবে তার প্রতি ইনসাফ, দয়া নয়। আমরা যদি ৮ ঘণ্টার জায়গায় ৫ ঘণ্টা করি, তাহলে তারা দেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে দেখা যাচ্ছে ৮ ঘণ্টার কাজ ৫ ঘণ্টায় সেরে ফেলবেন।

তিনি নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন (কোবা) আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশে প্রায় ৭০ লাখ গার্মেন্ট কর্মী আছে। তাদের ৯০ শতাংশ মেয়ে শালীন পোষাকে গার্মেন্টে যাওয়া আসা করে। আমরাতো তাদের বোরকা পরতে বলিনি। সে তার ইজ্জতের নিরাপত্তার জন্য এটা নিয়েছে। কারণ মা-বোনদের অনেকের কর্মক্ষেত্রে ইজ্জত-জীবন অনেক ক্ষেত্রে বিপন্ন হয়।

তিনি বলেন, রাসুল (সা.) তো যুদ্ধেও মহিলাদের নিয়ে গেছেন যুদ্ধ করার জন্য। যুদ্ধের মত ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় যদি মহিলা অংশগ্রহণ করতে পারেন, তাহলে সমাজের কোথায় তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না?

নারীদের কর্ম-বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মায়েরা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, আবার সেই সন্তানকে দুধ দিয়ে লালন করছেন। আবার একই সঙ্গে তিনি একজন পেশাজীবীর দায়িত্ব পালন করছেন। নারী ও পুরুষ উভয়ের আট কর্ম-ঘণ্টাকে নারীদের প্রতি অবিচার হিসেবে আখ্যায়িত করে জামায়াত আমির বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে মায়েদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়া দেবো।

তিনি বলেন, আমাদের বড় অঙ্গীকার হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান-আমরা এটা চাই। আমরা যদি ন্যায়ের পথে থাকি, আমরা যদি জাতির কল্যাণে স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করি তাহলে আমাদের পক্ষে থাকার ওয়াদা চাই।

জুলাই বিপ্লবে শহীদদের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাব। আমরা সবচেয়ে মজলুম দল। আমরা এই মজলুম বাংলাদেশকে গড়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। ন্যায় ও সত্যের পথে কেউ এগিয়ে না এলেও আমাদের এই মজলুম কাফেলা হিম্মত করে আল্লাহর ওপর ভরসা করে এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা হত্যার বিচার চেয়েছি, বিচার শুরু হয়েছে। আমরা জানি এ সরকারের মেয়াদে সব হত্যার বিচার সম্ভব নয়। তবে তাদের বিদায় নেয়ার আগে দৃশ্যমান কয়েকটা রায় দেখার অপেক্ষায় আছে জাতি। তাহলে আস্থা ফিরে আসবে। পরবর্তীতে যারাই ক্ষমতায় আসুক তাদেরকে অবশ্যই এই বিচারের ন্যায়ভিত্তিক সমাপ্তি টানতে হবে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা কোন অবিচার চাই না। আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত চাই। আমাদের হাতে আল্লাহ ক্ষমতা তুলে দিলে মানুষকে তার ন্যায্য বিচার হাতে তুলে দেবো।

তিনি বলেন, আমরা প্রবাসীদের ভোটের জন্য লড়াই করেছি। বিবেক দিয়ে জাতির আমানত যার কাছে রাখলে হেফাজত হবে, তাকেই ভোট দেয়ার আহবান জানান তিনি।

প্রবাসীদেরকে এবার ইনটেলিজেন্স রেমিটেন্স দেয়ার আহবান জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। আমাদের মেধাবীরা বিভিন্ন দেশে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করছে। আমরা তাদের একটি অংশকে দেশে ফেরত চাই। যাদের কাছে জাতির উপকার হবে, তারা দেশকে কিছু দেয়ার সিদ্ধান্ত নিন।

তিনি বলেন, আমরা আলাদীনের প্রদীপ হঠাৎ করে জ্বালিয়ে দিত পারব না। কিন্তু যদি সদিচ্ছা থাকে আর জনগণের ভালবাসা পাই, তাহলে পাঁচ বছরের মধ্যে জাতির ঘাড়ে যে পঁচা দুর্গন্ধ লেগেছে, সেটা থেকে মুক্তি পাবে। মানুষ বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে স্বস্তি পাবে। প্রত্যেক প্রবাসী নাগরিক হবেন বাংলাদেশি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

আব্দুল আজিজ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন-জামায়াতের যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র ড. নাকীবুর রহমান, ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী ডা. খালিদুজ্জামান, নিউইয়র্কের শিক্ষাবিদ আবু আহমেদ নুরুজ্জামান প্রমুখ।

জার্মান মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারির সঙ্গে গোলাম পরওয়ারের সাক্ষাৎ

পদ স্থগিত সত্ত্বে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে ফজলুর রহমান

ক্ষমতায় টিকে থাকা নিয়ে যা বললেন রাশেদ খাঁন

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার অঙ্গীকার চীনের

প্রিজন ভ্যানে যে কান্ড ঘটালেন ইনু

২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি সফল করার আহবান জামায়াতের

২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ড ছিল দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ

কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

যারা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নয় তারাই গণভোটকে ভয় পায়

সংস্কার নিয়ে জনমনে হতাশা তৈরি করছে: অধ্যক্ষ ইউনূছ আহমাদ