হোম > রাজনীতি

শাহজাহান চৌধুরী ইস্যুতে যা বললো জামায়াত

স্টাফ রিপোর্টার

প্রশাসনকে আন্ডারে আনা নিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

তবে শাহজাহান চৌধুরীর এই বক্তব্য জামায়াত সমর্থন করে না এবং এ ঘটনায় অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দলটি। রোববার কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মুহাম্মাদ শাজহাজান এই মন্তব্য করেন।

অবশ্য নিজের বক্তব্যের খন্ডিত অংশ প্রচার করে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাওলানা শাহজাহান চৌধুরী।

চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক জানায়, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর জন্য আজকের এই সুযোগ ভবিষ্যতে আর আসবে না। দুর্নীতির টাকা বাদ দেন, পার্শ্ববর্তী দেশ হিন্দুস্তান থেকে বস্তা বস্তা টাকা দেশে ঢুকবে। আর অস্ত্র ঢুকবে। আমাদের আমিরে জামায়াত যদি থাকতো, তাহলে আমি বলতাম, নির্বাচন শুধু জনগণকে দিয়ে নয়। আমি ন্যাশনালি বলবো না, যার যার নির্বাচনি এলাকায়, প্রশাসনের যারা আছে, তাদেরকে অবশ্যই আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে।

শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে জামায়াতের চট্টগ্রামের নির্বাচনি দায়িত্বশীলদের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

এসময় কেন্দ্রীয় এক নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, যার যার নির্বাচনি এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারকে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষককে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। পুলিশ আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে। ওসি সাহেব আপনার কী প্রোগ্রাম সকাল বেলায় জেনে নেবে, আর আপনাকে প্রোটোকল দেবে। টিএনও (ইউএনও) সাহেব যা উন্নয়ন এসেছে, সমস্ত উন্নয়নের হিসেব যিনি প্রার্থী (জামায়াতের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী) তার থেকে খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি আমার দক্ষিণ জেলায় অনেককে সহযোগিতা করেছি। তখন ক্যান্ডিডেট হিসেবে আমার নামও ঘোষণা করা হয়নি। উপদেষ্টাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, লোহাগাড়ায় ১০০ কোটি, সাতকানিয়ায় ১০০ কোটি এবং বাস্তবায়ন করার জন্য লোহাগাড়ায় ১০ কোটি, সাতকানিয়ায় ১০ কোটি (দেওয়া হয়েছে)। আপনি যদি জনগণকে কিছু দিতে না পারেন, জনগণের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা বুঝতে হবে। ডেকোরেশনের বয়দের নিয়ে কোনো সম্মেলন হয়েছে? আমরা তো তাদের ভোটারই মনে করতেছি না। সবাইকে নিয়ে সম্মেলন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাকে মাফ করবেন, নির্বাচন সংগঠন নয়। সংগঠন অবশ্যই লাগবে। সংগঠন আমাদের মৌলিক ভিত্তি। সংগঠনই আমাদের একমাত্র ধারক এবং বাহক। কিন্তু জনগণকে যদি জায়গা দিতে না পারেন, তাহলে নির্বাচনে বিজয় হওয়া কঠিন। যেমন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু আওয়ামী লীগের লোক নিয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাই জনতার আন্দোলনের মাঝে আওয়ামী লীগের নেতারা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

এদিকে শাহজাহান চৌধুরীর এই বক্তব্য নিয়ে সামাচিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। অনেকেই তার বক্তব্যটি পোষ্ট করে তীব্র সমালোচনা করছেন। আবার অনেকে তার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে পোষ্ট করছেন।

এরপর রোববার সকালে মাওলানা শাহজাহান চৌধুরী বিষয়টি পরিস্কার করে একটি গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। এতে তিনি বলেন, গতকাল শনিবার জামায়াতের নির্বাচনি দায়িত্বশীল সমাবেশে দেওয়া আমার বক্তব্যের খন্ডিত অংশ প্রচার করে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসন আমাদের কথায় চলবে বলতে আমি জনগণের কথায় চলার কথা বুঝিয়েছি। আমি বুঝাতে চেয়েছি আমার দেশের প্রশাসন আমাদের দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে কাজ করবে এবং বর্তমান ইন্টেরিম সরকারের অধীনে দেশের স্বার্থে পুলিশকে কাজ করতে হবে। যারা খন্ডিত অংশ প্রচার করে জামায়াতকে চিহ্নিত করছে তারা প্রকারান্তরে ফ্যাসিস্টদের সহযোগিতা ও উস্কানি দিচ্ছে। আমি পুলিশ বাহিনীকে দেশপ্রেমী হওয়ার জন্য এবং দেশের স্বার্থে জনগণের কথা শোনার জন্য বক্তব্যটা রেখেছি।

জামায়াতের বিবৃতি

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মুহাম্মাদ শাজহাজান সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর ২২ নভেম্বর প্রদত্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘বক্তব্যটি আমরা দেখেছি। এটা একান্তই তার বক্তব্য। এটার ব্যাখ্যা তিনি ভালো দিতে পারবেন। তার এই বক্তব্য জামায়াত সমর্থন করে না। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এ ঘটনায় আমরা অভ্যন্তরীণভাবেও আমাদের মতো ব্যবস্থা নিচ্ছি।

কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সিনিয়র প্রচার সহকারী মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি, প্রশাসন পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। এখানে আমাদের হস্তক্ষেপের কিছু নেই। অতীতে প্রশাসনের যারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেননি, তারা দেশের ক্ষতি করেছেন।

যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক তার সাথেই কাজ করবে ভুটান: মির্জা ফখরুল

অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে রাজধানী ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে: চরমোনাই পীর

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

ক্ষমতায় গেলে ‘ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের

যেদিন নামাজের ইমাম সমাজের ইমাম হবেন সেইদিন সত্যিকারের মুক্তি মিলবে

ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে প্রত্যাশার নির্বাচন হবে না: সাইফুল হক

কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক

হাসপাতালে গেলেন খালেদা জিয়া

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াত আমিরের সৌজন্য বৈঠক

হীন রাজনৈতিক স্বার্থে দেয়া ধর্মীয় ব্যাখ্যা বিশৃঙ্খলার কারণ: তারেক রহমান