হোম > রাজনীতি

অবশেষে সিলেট-৪ আসনে নির্বাচনে রাজি আরিফুল হক

খালেদ আহমদ, সিলেট

সিলেট সিটির সাবেক মেয়র বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী অবশেষে নগর ছেড়ে সিলেট-৪ আসন থেকে নির্বাচন করতে রাজি হয়েছেন। তিনি এবার সিলেট-১ (সদর) আসনে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই আসনের মনোনয়ন পেতে লন্ডন ও ঢাকায় যোগাযোগ রক্ষা করে মাঠে গণসংযোগ চালিয়েছেন। তবে নগর ছাড়তে অনিচ্ছুক আরিফুল হককে কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনের প্রার্থী করছে বিএনপি।

গত বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনে তলব করে সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছেন আরিফুল হককে। এ সময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়ালি উপস্থিতিতে তাকে এ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

সাবেক সিসিক মেয়র আরিফ বলেন, চেয়ারপারসন আমাদের জাতীয় মুরব্বি। অতীতেও দলের প্রয়োজনে আমি বারবার নির্দেশ পালন করে আসছি। সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করার আদেশ মাথা পেতে মেনে নিয়েছি। একই আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী সাবেক জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। এছাড়া বিএনপির মনোনয়ন পেতে আসনটিতে ব্যাপক গণসংযোগ ও সমাবেশ করেন দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী। এছাড়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম, জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম মাঠের প্রচারে ছিলেন।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি সারা দেশে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করে। ৬৩টি আসনে প্রার্থী ফাঁকা রাখে দলটি, যার মধ্যে সিলেট-৪ আসনও ছিল। আর সিলেট-১ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

আরিফ জানান, গত বুধবার দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনে চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে চেয়ারপারসনের নির্দেশে তিনি ওই আসনে নির্বাচন করতে সম্মত হন।

এ প্রসঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দলের উচ্চপর্যায় থেকে তাকে সিলেট-১-এর পরিবর্তে বেশ কয়েকবার সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বললেও তিনি রাজি হননি। বুধবার রাতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আমাকে সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হতে নির্দেশনা দেন। এ নির্দেশ অমান্য করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, দলের চেয়ারপারসনের নির্দেশ আমি কখনোই অমান্য করিনি, করবও না। তাই সিলেট-৪ আসনেই নির্বাচন করব, সব আল্লাহর ইচ্ছা।

আরিফুলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন না পেয়ে আরিফুল আশাহত হন। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার দলের উচ্চপর্যায় থেকে তাকে ঢাকায় জরুরি তলব করা হয়। পরে বুধবার রাতে তিনি দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করার ডাক পান।

চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করার সময় দলের তারেক রহমানের সঙ্গেও আরিফুল হকের মোবাইল ফোনে আলাপ হয়। এ সময় চেয়ারপারসন আরিফুলকে সিলেট-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নির্দেশ দেন। বিষয়টি দ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দল জানাবে। আরিফুল বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন। এর আগে তিনি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

আরিফুল হক চৌধুরী ২০১৩ সালে বদরউদ্দিন আহমেদ কামরানকে পরাজিত করে সিলেট সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনে তিনি ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন।

এর আগে দলের গ্রিন সিগন্যাল পাচ্ছেন না বুঝতে পেরে তিনি বলেছিলেন, হয় সিলেট-১, না হয় সিসিক মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই আশ্বাস চেয়েছিলেন দলের কাছে। কোনোভাবেই সিলেট নগর ছাড়তে চান না বলে ‘স্থানে মান-অস্থানে অপমান’ মন্তব্য করেছিলেন।

সিপাহি-জনতার বিপ্লব : সংবাদপত্রের পাতায় সেই দিনটি

আসন সমঝোতায় তৃতীয় জোটের উদ্যোগে ভাটা

গণভোট নিয়ে আলোচনায় বসতে মির্জা ফখরুলকে ফোন ডা. তাহেরের

জুলাই সনদ সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী বাস্তবায়ন চায় বিএনপি

দলীয়করণের শিকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার জরুরি

বিএনপি-জামায়াতকে ‘মল্ল যুদ্ধ’ বন্ধ করার আহ্বান এনসিপির

নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে: মির্জা ফখরুল

নির্বাচনকে সামনে রেখে হানাহানি বন্ধ করুন: খেলাফত আন্দোলন

অনশনরত তারেকের পাশে দাঁড়িয়ে যা বললেন রিজভী

এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, কার জন্য কত মূল্য