১৩ নভেম্বর ঘিরে ‘লকডাউন’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচারের রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সব তর্জনগর্জন ব্যর্থ হয়ে গেছে। ১৩ নভেম্বর রাজধানীতে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি জনগণের কাছে গুরুত্ব পায়নি। ঢাকাসহ সারা দেশে ছিল একই চিত্র। কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঝটিকা মিছিল এবং কিছু যানবাহনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ছাড়া তেমন কিছুই করতে পারেনি।
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচারের রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন ধার্য ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। ট্রাইব্যুনাল এদিন সকালেই জানিয়ে দিয়েছে আগামী ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা হবে। এ উপলক্ষে দিল্লিতে মোদি সরকারের আশ্রয়ে থাকা শেখ হাসিনা তার বাসায় দলের পলাতক নেতা, পলাতক পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করে আন্দোলন শুরুর নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের মধ্যে ছিল রাজধানীসহ দেশব্যাপী নাশকতা চালানো ও অস্থিরতা সৃষ্টি করা।
গোপন এ বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানোর সে গডফাদার জাহাঙ্গীর কবীর নানক একটি ভিডিও বক্তব্য দিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের সবকিছু অচল এবং ভাঙচুর চালানোর জন্য লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি জুলাই আন্দোলনকারীদের ভাষা লকডাউন শব্দটিও উল্লেখ করেন তাদের কর্মসূচি হিসেবে। কিন্তু তার হাঁকডাক কোনো কাজে আসেনি।
ঢাকায় সকালের দিকে যানবাহন চলাচল কিছুটা কম হলেও দুপুরের পর থেকে পুরোদমে যানবাহন চলাচল ও সড়কে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজপথে ছিল একাট্টা। বিভিন্ন স্থানে সাধারণ জনগণ স্বপ্রণোদিত হয়ে রাজপথে সতর্ক পাহারায় ছিল। নানা রাজনৈতিক মতভিন্নতা থাকলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সবাই একজোট, এটা আবারও প্রমাণ হলো।
দেশ অচল করার পরিকল্পনাকারীরা বলেছিল, রাজধানীসহ সারা দেশে এমন নির্জীব অবস্থা তৈরি হবে যেন সর্বত্র জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। তাদের ভাষায়, বন্দি অবস্থায় জনজীবন, যানবাহন, সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। দুপুর যেতেই ঢাকায় সাধারণ যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসে। রাস্তায় মানুষ বের হয়, দোকানপাট, ক্ষুদ্র ব্যবসাও সচল হয়। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়।
বাস্তবে রাজপথে সুবিধা করতে না পেরে এবং জনসাধারণের কাছে ধিক্কৃত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন উসকানি ও নির্দেশনা দেয় দলটির পলাতক নেতারা। এর মধ্যে নিরীহ রিকশাচালককে ৫০০ টাকা দিয়ে স্লোগান দিতে বলে সে ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে এসেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা এসব গুজবে নাগরিকদের কান না দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আইনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ ধরনের অপতৎপরতা দমন করা হবে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক হামলাগুলোর ধরন একই। ছোট দলে বিভক্ত হয়ে মোটরসাইকেলযোগে হামলা ও তাৎক্ষণিক পলায়ন। এদের মধ্যে কিছু দল চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে শহরতলিতে গা-ঢাকা দেয়। এসব ঘটনায় রাজধানীর একাধিক থানায় দায়ের হওয়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ৮০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ককটেলের ধরনও একরকম—পেট্রলভর্তি টিন ক্যান ও রডের টুকরা ব্যবহার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্র জানায়, এ ধরনের প্রকাশ্য দায় স্বীকার দেশে প্রথম, যা তদন্তের গতিপথ বদলে দিতে পারে। পুলিশ বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টটি যাচাই করে সাইবার ইউনিট অনুসন্ধান শুরু করেছে। একই সঙ্গে রাজধানীতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সূত্র, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি সফল না হওয়ার সম্ভাব্য কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণগুলোর মধ্যে সাধারণ মানুষ লকডাউনের আহ্বানে উদ্বুদ্ধ হয়নি। এছাড়া নিয়োজিত দল-সংগঠনের জোর ছিল কম এবং সমন্বয় ছিল দুর্বল। সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থা, জনতার চলাচল সচল রাখতে রাস্তা, যানবাহন চলাচল সহজ রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলাচলে সৃষ্ট অস্বস্তি বা ঝামেলা এড়াতে মানুষ ব্যাংক, অফিস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রয়োজন অনুভব করেনি।
নাশকতার টার্গেটে যেসব প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি
১৩ নভেম্বর ঘিরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারি কার্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় ও গণপরিবহনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। প্রতিটি থানায় অতিরিক্ত টহলের ব্যবস্থা করা হয়। রাস্তায় চেকপোস্ট বাড়ানো হয়। সন্দেহজনক মোটরসাইকেল গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি জোরদার করা হয়। ডিএমপি কাকরাইলের চার্চে হামলাসহ সব নাশকতায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাবের সঙ্গে সমন্বয় করে শহরজুড়ে অভিযান করে।
নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হামলাকারীরা ‘ফ্ল্যাশ মিছিল’ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত সংবাদ ছড়িয়ে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা ছিল আওয়ামী লীগের। তবে সবচেয়ে নজিরবিহীন ঘটনা হলো—কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ দেশজুড়ে চালানো নাশকতার দায় প্রকাশ্যে স্বীকার করা। দলটির নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে লকডাউন করার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি বিক্ষিপ্ত নাশকতার দায়ভার নিজেদের কাঁধে তুলে নেয়।
গুরুত্বপূর্ণ সড়কে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাংক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নগরজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। সব ঘটনাতেই মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিহিত দুর্বৃত্তরা দ্রুত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ফাটল ধরানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে ৭ নভেম্বর মধ্যরাতে কাকরাইলের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের চার্চে (সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল) ককটেল হামলা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া ককটেল নিক্ষেপ, সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার সঙ্গে জড়িত দেড় শতাধিক আওয়ামী সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ৪৩ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর আগে বুধবার ৪৪ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় ডিএমপি।
ডিএমপি কমিশনার শেখ এমডি সাজ্জাত আলী বলেন, রাজধানীতে অতীতের মতোই আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি জানান, সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে।
ডিবিপ্রধান শফিকুল ইসলাম জানান, ব্যাপক ধরপাকড় এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার কারণে আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের ‘লকডাউন’ ও নাশকতার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
আওয়ামী নাশকতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে শুরু হয়ে কোর্ট এলাকা, রায়সাহেব বাজার, তাঁতীবাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে বাহাদুরশাহ পার্কসংলগ্ন এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এ সময় জবি শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ মিছিলে পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এ বিক্ষোভ মিছিলে আন্দোলনকারীরা ‘ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর, ফ্যাসিজম নো মোর’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’, দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা, ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে হাসিনার ফাঁসি দে’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
বিএনপির সতর্ক অবস্থান
রাজধানীজুড়ে সতর্ক অবস্থানে ছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে রামপুরা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, মালিবাগ, শ্যামলীসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় মিছিল করেন তারা।
জামায়াতের বিক্ষোভ, অবস্থান
জামায়াতের নেতৃত্বে আন্দোলনরত আট দলের পক্ষ থেকে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর পল্টন, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, প্রেস ক্লাব, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট, সায়েন্স ল্যাব, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, ধানমন্ডি ৩২, মিরপুর ১০ ও ১১, আমিন বাজার, মগবাজার, ভাটারা, রামপুরা, খিলক্ষেত, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, মালিবাগ, বাংলামোটরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
ঢাবিসহ বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রশিবির। রাজধানীতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয় সকালে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে। কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাবি রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে ডাকসুর ভিসি সাদিক কায়েম, জিএস এসএম ফরহাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের নাশকতা প্রতিহত করতে শাহবাগ মোড়ে জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইনকিলাব মঞ্চ শক্ত অবস্থান নেয়। এ সময় সেখানে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবি করেন বক্তারা। সেই সঙ্গে রাজধানীতে নাশকতায় জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান দেশবাসীর কাছে।
সকাল থেকেই জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর, স্বেচ্ছাসেবক দল, ইনকিলাব মঞ্চ ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের নেতাকর্মীরা শাহবাগে মিছিল এবং মোটরসাইকেল শোডাউন করেন। পরে শাহবাগে অবস্থান নেন জামায়াতের নেতাকর্মী ও ইনকলাব মঞ্চের সদস্যরা।
বিভিন্ন স্পটে ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান
পতিত ফ্যাসিবাদের সন্ত্রাস প্রতিরোধে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
মধ্য বাড্ডা লুৎফন টাওয়ার, তেজগাঁও সাত রাস্তা, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, গাবতলী মাজার রোড, কচুক্ষেত ইব্রাহিমপুর পুলপাড়, মিরপুর ১১ কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, ক্যান্টনমেন্ট ইসিবি চত্বর, উত্তরা বিএনএস সেন্টার, পল্টন মোড়, যাত্রাবাড়ী ও শাহবাগ এলাকায় এ বিক্ষোভ হয়।
বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস
বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে মিছিল শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি সাখাওয়াত হোসাইন হাসিব এবং প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ।
এছাড়া আন্দোলনরত আট দলের মধ্যে খেলাফত মজলিস, জাগপাসহ অন্য দলগুলো বিভিন্ন স্থানে অবস্থান ও মিছিল করে বলে জানা গেছে।