হোম > রাজনীতি

গণভোট ও সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না: গাজী আতাউর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার

ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিএনপি সংস্কারকে বারংবার বাধাগ্রস্ত করেছে, তারা রাষ্ট্র সংস্কার চায় না, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চায় না। তাদের সিনিয়র নেতাদের কথাবার্তায় এটা বারংবার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দেশকে আর কোনো অবস্থায় আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। তাই সংস্কার করতেই হবে। সেজন্য অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ দিতে হবে এবং জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি নিশ্চিত করতে তফসিলের আগেই গণভোট দিতে হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে পাঁচ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানপূর্ব জমায়েতে এসব কথা বলেন।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে আমাদেরকে রাজপথে নামতে হবে, দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হবে তা আমরা ভাবি নাই, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদেরকে বাধ্য করেছে। তাদের তিনটা অঙ্গীকার ছিলো। আমরা বলবো, সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করুন। সংস্কারের জন্য কমিশন হয়েছে, ঐকমত্য কমিশন হয়েছে, জুলাই সনদ হয়েছে, সনদে স্বাক্ষর হয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছে, সংস্কার বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়েও সকলে একমত হয়েছে; এখন গড়িমসি কিসের? আগামী ১০ তারিখের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি না হলে আমরা ঢাকায় লোকে লোকারণ্য করে সমাবেশ করবো ইনশাআল্লাহ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, দ্রুতই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসাথে হবে না। দুইটার তফসিলও একসাথে হবে না। আমরা নভেম্বরে গণভোটের বিষয় বারংবার বলেছি। আপনারা কালক্ষেপণ করেছেন। এখন যদি নভেম্বর গণভোট করতে না পারেন, তাহলে যেদিন-ই দেন গণভোট আগে হতে হবে। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না; দুই মাস পরে করেন। কিন্তু গণভোট ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না। রাষ্ট্র সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। কারণ রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আমাদের তরুণ ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। আমরা মাত্র আন্দোলন শুরু করেছি। আন্দোলন ক্রমে তীব্র হবে। আপনারা আন্দোলন চাইলে আন্দোলনই হবে।

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, যারা বলে সংস্কার চায় না তাদের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা করতে বলেন? যারা দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, যারা পুরোনো বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখতে চায় তাদের সাথে সে সমঝোতা করতে বলেন? এটা তামাশা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্মমহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

দলীয়করণের শিকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার জরুরি

বিএনপি-জামায়াতকে ‘মল্ল যুদ্ধ’ বন্ধ করার আহ্বান এনসিপির

নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে: মির্জা ফখরুল

নির্বাচনকে সামনে রেখে হানাহানি বন্ধ করুন: খেলাফত আন্দোলন

অনশনরত তারেকের পাশে দাঁড়িয়ে যা বললেন রিজভী

এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, কার জন্য কত মূল্য

দুবাইয়ে মিষ্টি বিতরণ করা সেই প্রবাসীকে নিয়ে যা বললেন হাসনাত

জামায়াতসহ আট দলের স্মারকলিপিতে যা আছে

‘বিশেষ’ নির্বাচনি কৌশলে এগোচ্ছে জামায়াত

গণতন্ত্রের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান