মাওলানা ভাসানীর মৃত্যু দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে ভাসানী জনশক্তি পার্টি। পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকে মাওলানা ভাসানীর সংগ্রামী জীবনের কাহিনি গল্প আকারে তুলে ধরারও দাবি জানানো হয়। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভাসানী শ্রমিক পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।
এ সময় ভাসানীর মৃত্যু দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন না করায় সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী লড়াই–সংগ্রামের মহানায়ক। তিনি কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ আট মাস জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন এবং ৩৩টি রাজনৈতিক দল মিলে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ তৈরি করা হয়েছে। তা বাস্তবায়ন হলে ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ তৈরি হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে প্রয়োজন জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটের আয়োজন করা।
সংগঠনের মহাসচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম বলেন, বাংলাদেশে এখনো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি, পুলিশ–প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে প্রশাসন ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থা অনিশ্চয়তায় রেখে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভোট নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে কি না—সরকারকে ভেবে দেখার পরামর্শ দেন তিনি।
এর আগে সমাবেশ থেকে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ৫ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো—
১. সকল শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণা করতে হবে।
২. বন্ধ গার্মেন্টসসহ সকল কলকারখানা দ্রুত চালু করতে হবে।
৩. সকল শ্রমিকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৪. শ্রমিকদের বিনা পয়সায় চিকিৎসার জন্য শ্রমিক হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে।
৫. রিকশা–ভ্যান–অটো শ্রমিকদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত না করে সড়ক থেকে গাড়ি ধরার অভিযান চালানো যাবে না।
শ্রমিক স্বার্থে দাবিগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।
গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—ভাসানী শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক কমরেড বাবুল বিশ্বাস, ভাসানী জনশক্তি পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বিলকিস খন্দকার, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. ফয়েজ হোসেন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
এসআর