দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং নীতি-আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সারা দেশে বহিষ্কার হওয়া ২৮ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে জারি করা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে, দলটির এক নেতার পদ স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যেসব নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বড় একটি অংশই গাজীপুর মহানগর ও তার অধীনস্থ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর আহম্মেদ, সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. ছবদের হাসান, সাবেক প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ খান শিপুসহ প্রায় ১৮ জন নেতাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এছাড়া, বরিশাল দক্ষিণ জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম মৃধা, দিনাজপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মো. রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু, কুমিল্লা উত্তরের মেঘনা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন লন্ডনী এবং নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এস এম আসলাম-এর বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পদত্যাগ ও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হবিগঞ্জ জেলাধীন চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান পূর্বে স্বেচ্ছায় দল থেকে পদত্যাগ করলেও, আবেদনের প্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং বহিষ্কারাদেশও তুলে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে স্থগিতাদেশপ্রাপ্ত দিনাজপুর জেলাধীন ফুলবাড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. খুরশিদ আলমের (মতি) স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে।