আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ ‘শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের’ নেতাকে মনোনয়ন প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে জোটটির চেয়ারম্যান ও বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়া এবং মহাসচিব মো. জাকির হোসেনসহ ৬ জনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়ার নেতৃত্বাধীন শিক্ষক কর্মচারীর ঐক্যজোট বাংলাদেশের বৃহত্তম পেশাজীবী সংগঠন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষক হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন এবং কারাবরণ করেছেন। অতি সম্প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে ২৩৭ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নাম প্রকাশ করা হলেও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের কোনো প্রতিনিধির নাম তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে শিক্ষক সমাজ অত্যন্ত ব্যথিত ও মর্মাহত।
এ সময় জোটের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা চাকরির মায়া ত্যাগ করে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জেল-জুলুম উপেক্ষা করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে মাঠে ছিলাম। যাদের লড়াইয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, নতুন বাংলাদেশ গড়তে তাদের ভূমিকা প্রয়োজন। এজন্য শিক্ষক সমাজের মূল্যায়ন করে বিএনপির মনোনয়ন চান তারা। যেসব আসনে মনোনয়ন ঘোষণা বাকি আছে সেগুলোতে অথবা ঘোষিত আসনে পরিবর্তন করে শিক্ষক নেতাদের মনোনয়ন দাবি করেন তিনি। এতে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ জরিপের ভিত্তিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী শিক্ষকদের প্রায় সবাইকে দলের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছিল। নির্বাচনি এলাকায় তাদের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এর আগেও জাতীয় নির্বাচনের জন্য তারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় উল্লেখযোগ্যরা হলেন-অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া কুমিল্লা-২, মো. জাকির হোসেন মেহেরপুর ১, অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন পিরোজপুর সদর, আক্তারুল আলম মাস্টার গাজীপুর-৩, অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম দিনাজপুর-২ এবং একেএম আব্দুল আউয়াল টাঙ্গাইল-৪।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।