সাম্প্রতিক সময়ে দেশে শিক্ষার্থী ও নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)।
শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভবনের সাংবাদিক সমিতি সভাকক্ষে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্বেগ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদি জানান, জুলাই পরবর্তী সময়ে নারীদের ওপর রাজনৈতিক নিপীড়ন ও সহিংসতা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। ফরিদপুরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর নেত্রী বৈশাখী ইসলাম বর্ষা অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনেই বিএনপি কর্মীরা তার ওপর সহিংস হামলা চালিয়েছে।
একই দিন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মিছিলে অংশ না নেওয়ায় দুইজন নারী শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাস থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে এক ছাত্রদল নেত্রীর বিরুদ্ধে।
বাগছাসের পক্ষ থেকে এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, ‘বিএনপি ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নারীদের প্রতি এ ধরনের প্রতিশোধপরায়ণ ও পাশবিক আচরণ দেশের নারীবান্ধব রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য হুমকি।’
হৃদি বলেন, ‘নারীর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার এ প্রবণতা দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহাবস্থানকে সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নারী ঐক্য ও অধিকার রক্ষায় আমাদের জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
সংগঠনটির ঢাবি শাখার মুখপাত্র আশরেফা খাতুন বলেন, ‘যে দলের চেয়ারপারসন একজন নারী, সেই দলের অভ্যন্তরেই যদি নারীর মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই, বিএনপি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক এবং নারীর মর্যাদা রক্ষায় দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিক।’
সংবাদ সম্মেলনে বাগছাসের কেন্দ্রীয় নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা নারীর প্রতি রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানান।