এনসিপি থেকে সদ্য পদত্যাগকারী নেত্রী তাসনিম জারা ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বাংলাদেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে অবশ্যই নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারের কমপক্ষে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর বা সমর্থন (হলফনামা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ) জমা দিতে হবে।
এই শর্ত অনুযায়ী তাসনিম জারা গতকাল রোববার থেকে নির্বাচনি এলাকার খিলগাঁও থেকে স্বাক্ষর নেওয়া শুরু করেন। আজ সোমবার জানা গেলে যেহেতু ভোটারদের সিরিয়াল নম্বর প্রয়োজন, কিন্তু সেই সিরিয়াল নম্বর পাওয়ার ৫টি উপায় আছে। সব কয়টি পথ বন্ধ রেখেছে নির্বাচন কমিশন এমনটাই জানালেন ঢাকা ৯ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী তাসনিম জারা।
এ বিষয়ে তাসনিম জারা বলেন, ভোটার নম্বর লাগবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, ২৫ বছর বয়স পূর্ণ হতে হবে, ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে। এর সঙ্গে আয়কর রিটার্ন, সম্পদের বিবরণী এবং নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ছবি ও হলফনামা জমা দিতে হয়, যা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী পূরণ করতে হয়। তবে আগে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এই ১% স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা থাকে না।
তাসনিম জারা বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো উপায় রাখেনি যে ভোটার নম্বর পাওয়া যাবে। ৫ উপায়ে ভোটার নম্বর পাওয়া যাবে। এক হলো এসএমএস করে, অনলাইনে ভোটার নম্বর পাওয়া যাবে। কল করে ভোটার নম্বর পাওয়া যাবে।কিউ আর কোড ব্যবহার করে পাওয়া যাবে। তো পাঁচটি উপায়ে ভোটার নম্বর পাওয়া যায়, কিন্তু একটা উপায়ও কার্যকর নয়।
তিনি আরো বলেন, ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হব, এ ক্ষেত্রে ভোটার নম্বর লাগবে। কিন্তু ভোটার নম্বর পাওয়া যাচ্ছে না। একদম অসম্ভব করে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকটা পথ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
এদিকে এই অল্প সময়ে প্রয়োজনীয় ভোটার সিরিয়াল নম্বর পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। কেননা আজ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।