জার্মান কাপ
মাঠের লড়াইয়ে ফের দ্যুতি ছড়ালেন হ্যারি কেইন। পেলেন জোড়া গোলের দেখা। তারকা এ ইংলিশ ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে জার্মান কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে গোল উৎসব করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। গত বুধবার রাতে কোলনকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছে বাভারিয়ানরা। এ জয়ে ইউরোপিয়ান রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছে জার্মান জায়ান্ট ক্লাবটি। ইউরোপিয়ান ক্লাবে ফুটবলের শীর্ষ পাঁচ লিগে মৌসুমের শুরু থেকে টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের নয়া কীর্তির মালিক এখন বায়ার্ন।
ম্যাচের দুই অর্ধে কোলনের জালে দুবার বল জড়ান কেইন। বায়ার্নের জার্সিতে অন্য দুটি গোল এনে দেন লুইস দিয়াজ ও মাইকেল ওলিস। কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছি শতভাগ। গত ১৬ আগস্ট জার্মান সুপার কাপের ম্যাচ দিয়ে জয়রথে চেপে বসেছিল বায়ার্ন। সেই ম্যাচে স্টুটগার্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে মৌসুম শুরু করেছিল বায়ার্ন।
মৌসুমের শুরু থেকে টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের আগের রেকর্ডটি ছিল এসি মিলানের। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমের প্রথম ১৩টি ম্যাচ জিতেছিল মার্কো ফন বাস্তেন-পাওলো মালদিনিদের মিলান।
মিলানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে বায়ার্নের নেপথ্যে নায়ক হ্যারি কেইন। বায়ার্নের এই ১৪ ম্যাচের মধ্যে তিনি গোল করেছেন ১২টিতেই। আছে দুটি হ্যাটট্রিক পারফরম্যান্স। ৬ ম্যাচে করেছেন জোড়া গোল। সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন ৩টি। কেইন এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে গোল পেলেন ২২টি।
গোলের পর গোল করে যাচ্ছেন কেইন। বায়ার্নের এ গোল মেশিনের পারফরম্যান্স নিয়ে মাঝে মধ্যে মজাও করেন বায়ার্ন কোচ কোম্পানি। চলতি মৌসুমে কেইন একটু নিচে নেমে খেলে যাচ্ছেন। নিজে গোল করছেন আর সতীর্থদের গোলে রাখছেন অবদান। কোলনকে হারানোর পর কোম্পানি বলেন, ‘কখনো কখনো ব্যাপারটা বেশ মজার। ম্যাচ শেষে কাকে যেন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেইন আজ (বুধবার রাতে) গোল করেছে কি না এবং সে বলেছে, হ্যাঁ দুই গোল। কখনো কখনো আসলে খেয়াল রাখা সম্ভব হয় না, কারণ, দলের জন্য সে অন্য যেসব কাজ করে সে জন্য।’