সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১১ রানের লক্ষ্যে প্রথম বলে ওয়াইড ও নো বলের কল্যাণে বাড়তি এক বল পায় বাংলাদেশ। তাতে এক বলে বাংলাদেশের নামের পাশে ৫ রান। সঙ্গে বাড়তি পাওয়া হিসেবে ছিল ফ্রি হিট। তাতে ৫ বলে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৬ রান। তবে সুপার ওভারে এই সহজ সমীকরণ মেলাতে ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ। ৯ রান তুলে সমীকরণ মেলাতে না পারার দায় নিজের কাঁধে তুলে নেন ওপেনার সৌম্য সরকার। ফ্রি হিটের সদ্বব্যবহার করতে না পারার দায় কাঁধে নিয়ে সৌম্য সরাসরিই বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য ব্যর্থতা’। পাশাপাশি শেষ দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা রিশাদ হোসেনকে কেন সুপার ওভারে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়নি সেটা নিয়েও হয়েছিল প্রশ্ন। এর উত্তরে অবশ্য কোচ ও অধিনায়কের কাঁধেই দায় চাপান তিনি।
নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সুপার ওভার খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। ফলে সুপার ওভারে খেলার নতুন অভিজ্ঞতা যোগ হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের ভাণ্ডারে। সুপার ওভার খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও টিভিতে হয়তো এমন ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা নিশ্চয় আছে। তবে সবকিছু মিলিয়ে দায়টা নিজের কাঁধে নিয়ে সৌম্য বলেন, ‘আমার জন্য ফেইলিউর। লেফট আর্ম স্পিনার ছিল, আমার কনফিডেন্স ছিল যে না আমি একটা বাউন্ডারি এখান থেকে আদায় করতে পারব।’
তবে উইকেট যে তার পক্ষে ছিল না সেটা জানিয়ে বলেন, ‘এটাও ঠিক যে উইকেটটাও এমন ছিল না যে ইজি ছয়, বাউন্ডারি মারার মতো। বলটাও অনেক পুরান হয়ে গিয়েছিল। ৫০ ওভার পরের বল মারা যাচ্ছিল না। সো, একচুয়ালি বড় হিট করতে গেলে উইকেটের একটা হেল্প থাকে, স্লো আসতেছিল, টার্নও ছিল অনেক বেশি- নেক্সট টাইম যদি এমন উইকেট থাকে তাহলে প্র্যাকটিস করতে হবে এই উইকেটেও ছয় মারতে হবে।’
ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ানোর আগেই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সমূহ। নিজেদের ভুলে যে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়িয়েছে সেটা জানিয়ে সৌম্যর ভাষ্য ছিল, ‘অনেকগুলো টার্নিং পয়েন্ট ছিল। আজকে স্পিনাররা খুবই ভালো বোলিং করেছে। মোস্তাফিজের অনেকগুলো ওভার বাকি ছিল। স্পিনাররা ভালো বল করছিল বিধায় ওভার শেষ হয় নাই। আবার দুইটা ক্যাচ ছিল, এটাও হতে পারে টার্নিং পয়েন্ট।’
তবে সুপার ওভারে কেন রিশাদ হোসেনকে নামানো হয়নি সেই ব্যাখ্যায় সৌম্য বলেন, ‘এটা কোচরা প্ল্যান করছে। কোচ-ক্যাপ্টেন।’ অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা আকিল হোসেইনও জানান, তিনিও অবাক হয়েছেন রিশাদকে সুপার ওভারে না দেখে। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, অবাক তো হয়েছি তাকে সুপার ওভারে না দেখে। এই ছেলেটাই সবচেয়ে বেশি বিধ্বংসী ব্যাট করেছে। ১৪ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস, আর তাকেই কিনা সুপার ওভারে নেয়া হলো না। মাঠের শর্ট বাউন্ডারিতে দুটো ছক্কা মেরেছে। আমরা আসলে সবাই অবাক হয়েছে তাকে সুপার ওভারে না দেখে। যদিও দিন শেষে ব্যাপারটা আমাদের পক্ষে কাজ করেছে।’