দারুণ এক মৌসুম কাটিয়েছেন। স্বপ্নিল ফুটবল মৌসুমে চারদিকে ছিল শুধু উসমান দেম্বেলের বন্দনা। ক্রীড়াপ্রেমীরা ধরেই নিয়েছিলেন ব্যালন ডি’অর জিততে যাচ্ছেন ফরাসি এ তারকা ফরোয়ার্ড। এমন একটি অ্যাওয়ার্ড জয়ের স্বপ্ন ছিল দেম্বেলেরও। সেই স্বপ্ন সত্যি করে অন্য এক রাজ্যের বাসিন্দা এখন তিনি। যেখানে শুধু তারকাদের রাজত্ব।
বহুলকাঙ্ক্ষিত পুরস্কারটি হাতে পেয়ে আনন্দে হেসেছেন। আবার খুশির বন্যায় ভেসে কেঁদেছেনও। এমন বড় এক প্রাপ্তির দিনে দেম্বেলে ভুলে যাননি পুরোনো দিনের গল্প। যেখানে ক্যারিয়ারের শুরুতে ইনজুরি আর সমালোচনা ছাড়া কিছুই জোটেনি তার সামনে। সেসব পেছনে ফেলে ব্যালন ডি’অর আকাশের তারা এখন দেম্বেলে।
বর্ণিল ক্যারিয়ারের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিয়েছে এই একটি সোনালি ট্রফি। দারুণ অর্জনের স্বীকৃতি হাতে পেয়ে দেম্বেলে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মহান আল্লাহতায়ালার কাছে। ব্যালন ডি’অরের ছবি শেয়ার করে নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে দেম্বেলে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ!’
অশ্রুসিক্ত নয়নে ক্যামেরাবন্দি হওয়ার একটি ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেম্বেলে লিখেছেন, ‘এই হাসির আড়ালে আমি একাই জানি কত ইনজুরি, কত ব্যথা, কত ত্যাগ লুকিয়ে আছে। এই ব্যালন ডি’অর আমার উত্তর। আমার চোখের পানি থামছে না। শুধু আমি জানি, এই মুহূর্তের জন্য আমি কত দোয়া করেছি।’
অবমূল্যায়নে কতটা খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে দেম্বেলেকে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা বলেছিল আমি শেষ হয়ে গেছি। আমি পড়ে গেলে হাসাহাসি করত, আমাকে ভঙ্গুর আর অপচয় বলত। কিন্তু তারা জানত না, নীরব রাতে আমি কেমন কেঁদেছি, কতটা যন্ত্রণা বয়ে বেড়িয়েছি, কতবার হাল ছাড়ার কথা ভেবেছি। রিহ্যাবের দীর্ঘ সময়, একাকিত্ব, সন্দেহ-সবকিছু মিলিয়ে ভাঙার মতো অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। এই ব্যালন ডি’অর শুধু একটি ট্রফি নয়, এটি আমার টিকে থাকার প্রতীক।’
নিজের মাকে নিয়ে লিখেন, ‘আমি মাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। মা, তুমি সব সময় আমার পাশে ছিলে। এই অর্জন তোমার জন্যও।’ ক্লাবের সতীর্থ, কোচ, স্টাফ ও ক্লাবকে ধন্যবাদ দিয়ে পুরস্কার মঞ্চে দেম্বেলে বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে এটা করেছি। এটা ব্যক্তিগত ট্রফি নয়, আমাদের সবার অর্জন।’