কয়েকটা দিন আফসোস থেকে যাবে ফিলিপে লুইসের। কারণটাও বেশ যৌক্তিক। ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোল’র ম্যাচে বায়ার্নের বিপক্ষে ফিনিশিংয়ে খেই হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে হারতে হয়েছে তার দল ফ্ল্যামেঙ্গোকে। এই হারের পর সাবেক ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে খুব করে মনে পড়েছে ফ্ল্যামেঙ্গার প্রধান কোচের।
এক মৌসুম খেলার পর ২০১৮ সালের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে রিয়াল মাদ্রিদের পাড়ি জমান ভিনিসিয়াস। গত কয়েক বছরে মাদ্রিদের ক্লাবটির প্রাণভোমরা বনে গেছেন এই উইঙ্গার। প্রতিপক্ষের রক্ষণের জন্য ভিনিসিয়াস যেন সাক্ষাৎ যমদূত। খুব স্বাভাবিকভাবেই লুইসের মনে হচ্ছে, ভিনিসিয়াস থাকলে বায়ার্নের বিপক্ষে ফিনিশিংয়ে ভুগতে হতো না তাদের।
বায়ার্নের কাছে হারার পর লুইস বলেন, ‘আমরা বায়ার্ন মিউনিখের মতো বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা ক্লাবের সঙ্গে লড়াই করেছি। ভিনিসিয়াস রিয়াল মাদ্রিদে যোগ না দিলে আমাদের ক্লাবেও বিশ্বসেরা ফুটবলার থাকতো।’
মোটে অঙ্কের আয়ের সুযোগ, যশ-খ্যাতি এবং দারুণ ভবিষ্যতের হাতছানি থাকায় ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোতে নাম লেখায় ল্যাটিন আমেরিকান ফুটবলার- এমনটাই মনে করেন ফ্ল্যামেঙ্গা কোচ, ‘দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চলের খেলোয়াড়রা ইউরোপের মতো অভিজাত ক্লাবগুলোতে খেলতে মুখিয়ে থাকে। ইউরোপের ক্লাবগুলো অনেক উঁচু মানের হয়ে থাকে। তাই বায়অর্ন মিউনিখের বিপক্ষে আমরা জিতলেও এই অঞ্চলের খেলোয়াড়দের মানসিকতা পরিবর্তন হতো না।’
বায়ার্ন মিউনিখের মতো ইউরোপ সেরা ক্লাবের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করতে নারাজ লুইস, ‘আমাদের ক্লাবে ভালো মানের ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় আছে। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখে সেরা খেলোয়াড়দের উপস্থিতি ভুলে গেলে চলবে না। ওদের খেলোয়াড়রা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাস্তবতা এমনই।’