ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল পাকিস্তান। নিজেদের পরের ম্যাচে জেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। টানা দুই জয়ে ঘরের মাঠের ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে উঠার পথটা সহজ করেন রেখেছিল সালমান আগারা। এবার দ্বিতীয় দেখাতে আফ্রিকান টিমটিকে ৬৯ রানে হারিয়েছে তারা। হ্যাটট্রিক জয়ে টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পৌঁছে গেছে পাকিস্তান।
দলীয় ২৩ রানে সাইম আইয়ুবের বিদায়ে ওপেনিং জুটি ভাঙলে হোঁচট খায় পাকিস্তান। তবে চাপ আর বিপদ দুটোই সামলে উঠতে সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাহিবজাদা ফারহান আর বাবর আজমের ৭৭ বলে ১০৩ রানের দারুণ এক পার্টনারশিপে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে নেয় পাকিস্তান। সাহিবজাদা ফারহানের ব্যাট ছুঁয়ে আসে ৬৩ রান। আর বাবর আজম দলীয় স্কোরে যোগ করেন ৭৪ রান। ফখর জামান অপরাজিত থেকে যান ২৭ নিয়ে। তাতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ২৫ রানে তৃতীয়, ৬০ রানে ষষ্ঠ আর ৮২ রানে নবম উইকেট খুইয়ে ফেলে অতিথি দলটি। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মাঝে ব্যাট হাতে বলতে গেলে একাই লড়াই করেছেন রায়ান বার্ল। তারকা এ ব্যাটার অপরাজিত থেকে যান ৬৭ রানে। আর ২৩ রান এনে দেন সিকান্দার রাজা। দুই অঙ্কের ইনিংস বলতে এই দুটোই। বাকি ব্যাটসম্যানরা হতাশ করেন সিঙ্গেল ডিজিট নিয়ে সাজঘরে ফিরে। ১৯ ওভারেই ১২৬ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন উসমান তারিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১৯৫/৫, ২০ ওভার (বাবর ৭৪, সাহিবজাদা ৬৩, ফখর ২৭*; রাজা ২/২৭)।
জিম্বাবুয়ে: ১২৬/১০, ১৯ ওভার (বার্ল ৬৭*. রাজা ২৩; তারিক ৪/১৮ ও নাওয়াজ ২/২১)।
ফল: পাকিস্তান ৬৯ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: উসমান তারিক।